আগামী ১০ সেপ্টেম্বর সোমবার বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দৌড়ের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। ‘ব্রাইটার টুমোরো ফাউন্ডেশন (বিটিএফ)’ এবং ’দ্য গ্রেট বাংলাদেশ রান (টিজিবিআর)’ যৌথভাবে এই দৌড়ের আয়োজন করছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাত্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
‘জীবন বাঁচাতে দৌড়’ শীর্ষক এ রানটি সকাল ৬ টায় অপরাজেয় বাংলা প্রাঙ্গন থেকে শুরু হবে এবং রান শেষে সকাল ৬: ৪০ টায় অপরাজেয় বাংলার সামনে সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ৫ কি.মি. দৈর্ঘ্যরে এ দৌড়ে বিভিন্ন বয়স এবং শ্রেনী-পেশার মোট ২৫০ জন অংশগ্রহণ করবে। ১০ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত থাকবেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী , এভারেস্ট জয়ী প্রথশ বাংলাদেশী নারী নিশাত মজুমদার এবং ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ।
আয়োজিত দৌড়ের অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করছে ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। আর এতে হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে রয়েছে আল কাদেরিয়া লিমিটেড। প্রসঙ্গত, বিশ্বে ও আমাদের দেশে আত্মহত্যা ও আত্মহত্যা প্রবণতা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। মৃত্যু ঘটছে অসংখ্য জীবন ও সম্ভাবনার। প্রতিবছর আত্মহত্যায় মৃতের সংখ্যা হত্যা ও যুদ্ধে মৃত্যুর মোট সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আর বিশ্বের শতকরা ৭৫ শতাংশ আত্মহত্যা হয় স্বল্পোন্নত ও অনুন্নত দেশগুলোতে। ২০১৪ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে আত্মহত্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে থাকে। অথচ মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা এবং পারিবারিক ও সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। ব্রাইটার টুমোরো ফাউন্ডেশন (বিটিএফ) আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে গত প্রায় ৪ বছর ধরে কাজ করে চলেছে।
মানুষের বিশেষ করে দেশের কিশোর -তরুণদের হতাশা, বিষন্নতা ও অন্যান্য নেতিবাচক প্রবণতা প্রতিরোধে সংগঠনটি বছরের বিভিন্ন সময়ে সচেতনতা কর্মশালা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠাএন কাউন্সেলিং ইত্যাদি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। অপরদিকে, ‘দ্য গ্রেট বাংলাদেশ রান’টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার তিন নম্বর লক্ষ্যমাত্রা গুড হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংকে সমর্থন করে হেলদি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সারাদেশে রানিং প্রোমোট করছে, যার উদ্দেশ্য মাদকমুক্ত স্বাস্থ্য সচেতন একটি বাংলাদেশ গঠন। সমগ্র বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিষ্ঠানটি ক্রমান্বয়ে দেশের ৬৪ জেলায় রান আয়োজন করে চলেছে।
জাকির / আজকের বাজার