জেএমবি’র আমিরসহ ৩ জন গ্রেফতার, বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার

রাজধানীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আমিরসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাত পৌঁনে ৮টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপ রাজধানীর ভাটারা থানার সাইদ নগর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

তাদের হেফাজত হতে ১৫০ টি ডেটোনেটর, জিহাদী বই, ১ টি কমান্ডো ছুরি ও ২০ পিস জেল জাতীয় বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে আঃ হাদী (জেএমবি’র আমির), হাবিবুর রহমান ওরফে চাঁন মিয়া ও রাজিবুর রহমান ওরফে রাজিব ওরফে সাগর। আজ সোমবার ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃতদের উদ্ধৃতি দিয়ে সিটিটিসি প্রধান বলেন, আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে আ. হাদী টঙ্গীতে তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় লেখা-পড়া করা অবস্থায় ২০১০ সালে মৃত তালহা এবং মৃত ডা. নজরুলের মাধ্যমে জেএমবিতে যোগদান করেন। সংগঠনের প্রতি একাত্মতা এবং বিশ্বস্ততার কারণে ২০১২ সালে সংগঠনের সিদ্ধান্তে তিনি কক্সবাজারে গিয়ে লেখাপড়াসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার দায়ী (দাওয়াতী) শাখার প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতে শুরু করে। ওই সময় তালহা প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ১ ব্যাগ কমান্ডো ছুরি হাদীকে দেয়। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সংগঠনের সিদ্ধান্তে হাদী জঙ্গি খোকনের চাচাত শালিকে বিয়ে করেন। তিনি ছুরি ব্যাগ কক্সবাজারের নুরুল হাকিম ওরফে আ. হাকিমের নিকট দেয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর নুরুল হাকিম ওরফে আ. হাকিম সংগঠনের আরও সদস্যসহ শাজাহানপুর থানা এলাকায় ৩০ টি কমান্ডো ছুরি এবং বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার হয়।

জেএমবি’র ইসাবা গ্রুপের প্রধান হিসেবে গ্রেফতারকৃত মো. হাবিবুর রহমান ওরফে চাঁন মিয়া সংগঠন পরিচালনার অর্থ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে। তিনি গত বছরের ২৯ মার্চ দক্ষিনখান থানার পীর সাহেবের বাড়ীতে ডাকাতির সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে। কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি পুনরায় জঙ্গি কার্যক্রম শুরু করে। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান