জেরুজালেম ইস্যুতে ট্রাম্পের নতুন হুমকি

ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমের নাম প্রত্যাহারের প্রস্তাবে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোট অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। এর আগে সোমবার মিশর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জেরুজালেম প্রশ্নে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করে। ১৪টি সদস্য দেশ সে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়ায় প্রস্তাবটি বাতিল হপয়ে যায়। খসড়া প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের নাম সরাসরি না আসলেও জেরুজালেম সংক্রান্ত যে কোনো সিদ্ধান্ত বাতিল করার প্রস্তাব ছিল এখানে।

ট্রাম্প বলেছেন, “ঐসব দেশ আমাদের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়েছে, আবার নিরাপত্তা পরিষদে আমাদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। তাদের এসব করতে দিন। আমারা তাদের আর্থিক সহায়তা কমিয়ে দিব। ওই টাকা আমরা সঞ্চয় করবো, আমরা কোন পরোয়া করিনা।”

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে এখন জেরুজালেম ইস্যু। ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে এটিকে তাদের অবিভক্ত রাজধানী ঘোষণা করে। আগে এটি জর্ডানের অধীনে ছিল। ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী বানাতে চায়। শান্তি আলোচনার পরবর্তী ধাপে এই বিষয় নিয়ে জেরুজালেমের ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌম অধিকার কখনোই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়নি। সব দেশের দূতাবাস তাই তেল আভিভেই স্থাপন করা হয়। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তার দেশের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন।

জেরুজালেম ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের বহুবছরের নীতিগত অবস্থান পরিবর্তন করাডয় ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আরব ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর অনুরোধে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ ১৯৩ সদস্যের একটি জরুরি সাধারণ সভা ডেকেছে।

নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়ার পর ফিলিস্তিনিরা এই মিটিং ডাকে। জেরুজালেম সংক্রান্ত যে কোনো সিদ্ধান্ত “অকার্যকর ও বাতিল” করার দাবীতে এবং সব রাষ্ট্রকে “পবিত্র শহরে কূটনীতিক মিশন স্থাপন করা থেকে বিরত থাকার” আহ্বান জানায় ফিলিস্তিনিরা।

নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪ সদস্য দেশ প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নিলেও জাতিসংঘের যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি নিকি হ্যালে এটিকে “অপমান” হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

তুরস্ক ও ইয়েমেনের উত্থাপিত প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বসতে যাওয়া জাতিসংঘের সাধারণ সভায় নিরাপত্তা পরিষদে ভেটোপ্রাপ্ত প্রস্তাবের খসড়া নিয়েই আলোচনা হবে। তবে এই প্রস্তাব মানা নিয়ে কোনো দেশের বাধ্যবাধকতা থাকবে না।

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী প্রতিনিধি রিয়াদ মানসুর বলেছেন এই প্রস্তাবের পক্ষে “সম্পূর্ণ সমর্থন” আশা করছেন তারা।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

আজকের বাজার/এসএস/ ওএফ / এলকে ২১ ডিসেম্বর ২০১৭