জোর করে ধর্ষণের পর ক্ষমা চেয়েছিলেন রোনাল্ডো

এবার ধর্ষণের অভিযোগে বিপাকে পড়েছেন পর্তুগাল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তবে প্রকাশ্যে ইনস্টাগ্রামে সমর্থকদের তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা।

মার্কিন মডেলের করা ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সিআর সেভেন সংক্ষেপে বলেন, “এটা ফেক নিউজ। লোকেরা বিখ্যাত হতে চান, শিরোনামে আসতে চান। আর সেজন্যেই আমার নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। লোকেরা আমার নাম নিয়ে নিজেদের প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু এসব আমাদের সামলাতেই হয়, এসব নিয়েও আমি সুখী।”

রোনাল্ডো যতই অস্বীকার করুন, মার্কিন মডেলের আদালতে পেশ করা নথিতে অস্বস্তি কিছুটা হলেও বাড়বে পর্তুগাল অধিনায়কের।
আদালতে নথি পেশ করে মার্কিন মডেল ক্যাথরিন মায়োরগা দাবি করেছেন, রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে তাঁর কাছে পোক্ত প্রমাণ রয়েছে। ঠিক কীভাবে ধর্ষণ হয়েছে তাঁরও বর্ণনা দিয়েছেন মার্কিন মডেল। মডেলের দাবি, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি অ্যাপার্টমেন্টে তাঁকে নিয়ে যান রোনাল্ডো। মায়োরগা যখন পোশাক বদলাচ্ছিলেন তখন হঠাৎ পিছন থেকে তাঁকে জাপটে ধরেন প্রাক্তন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।

মায়োরগার দাবি, বারবার তিনি আপত্তি জানিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও জোর করে পায়ুসঙ্গম করেন সিআর সেভেন। মার্কিন মডেল আদালতে যে নথি পেশ করেছিলেন সেই নথি অনুযায়ী, ধর্ষণের পর নাকি তাঁর কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন রোনাল্ডো। তিনি বলেন, আমি দুঃখিত, আমি এমনিতে অভদ্র নয়, ৯৯ শতাংশ ভদ্র। মহিলার দাবি, এরপর রোনাল্ডোর চোখেমুখে অপরাধ বোধ ফুটে উঠছিল। বারবার ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন সিআর সেভেন। এমনকি নতজানু হয়ে এই ঘটনা প্রকাশ্যে না আনার জন্য অনুরোধও করেন জুভেন্তাস তারকা।

ক্যাথরিনের দাবি, সেসময় শারীরিক সম্পর্কের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন রোনাল্ডো। সেসময় ওই মডেলের সঙ্গে রোনাল্ডোর বেশ কিছু ছবিও ভাইরাল হয়। কিন্তু ক্যাথরিনের আইনজীবী দাবি করেছেন, যে আর্থিক চুক্তি হয়েছিল তাঁর শর্তপূরণ করা হয়নি। তাছাড়া তাঁর মক্কেলের সেই শারীরিক সম্পর্কের জন্য প্রচুর শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আর সে কারণেই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন।

জার্মান সংবাদমাধ্যমটি ক্যাথরিনের বয়ানের একটি ভিডিও প্রকাশ করে এই অভিযোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে। যদিও, সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো। এমনকী যে সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রথম প্রকাশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোনাল্ডো।

আজকের বাজার/এএল