জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

গণশুনানি না করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-,তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই রুল জারি করেন। রিট পিটিশনার এডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ বাসস’কে আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,  বিদ্যমান আইন অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এক্ষেত্রে গনশুনানি করতে হবে। অন্যকোন কর্তৃপক্ষের জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ নেই বলে দাবী করেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
জ্বালানি তেল ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনের দাম বৃদ্ধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৮ আগস্ট হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে তেলের দাম বৃদ্ধি করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেট স্থগিত, বাতিল ও প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রিটটি দায়ের করেন।
জ্বালানি সচিব, জ্বালানি উপ সচিব ও বিইআরসির চেয়ারম্যানকে রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।
ডলার সংকট এবং বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে গত ৫ আগস্ট রাতে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল ১৩০ টাকা। গেজেট প্রকাশের পরপরই রাত ১২টা থেকে নতুন মূল্য কার্যকর হয়।