জয়পুরহাটে ধানের শীষে ঝলমল করছে বোরো’র মাঠ

জেলায় এখন ধানের শীষে ঝলমল করছে বোরো’র মাঠ ঘাট। খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চলতি ২০২১-২০২২ রবি ফসল উৎপাদন মৌসুমে বোরো চাষে ব্যাপক কর্মসূিচ গ্রহণ করে। রোপা আমন ও আলুর বাম্পার ফলনের পর জেলার কৃষকরা এখন বোরো ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসসকে জানায়, খাদ্যে উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে চলতি ২০২১-২০২২ নিবিড় বার্ষিক ফসল উৎপাদন কর্মসূচর আওতায় ৬৯ হাজার ৪ শ ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৬৫ হাজার ২ শ ৭৫ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের রয়েছে ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমি। এতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৫৮ মেট্রিক টন। বোরো ধান ঘরে আসতে সময় লাগে ৯০ থেকে ১০০ দিন। বোরো ধানের শীষ গুলো এখন বাতাসে দোল খাচ্ছে আর ঝলমল করছে। কোন কোন এলাকায় বোরো ধানের শীষ সোনালী রং ধারণ করতে শুরু করেছে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কাটা মাড়াই শুরু হবে । স্থানীয় কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলায় রোপণ করা বোরো ধান গুলোর মধ্যে রয়েছে বিআর- ১৬, ২৮, বিআর-২৯ ও ব্রি-ধান ৫০, ৫৮ ও ৫৯। কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বোরো বীজ সরবরাহ করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন। নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্রসহ জেলার ১ শ ১৪ জন বীজ ডিলারের মাধ্যম বীজ বিক্রি সম্পন্ন করা হয়। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলেও আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলায় চাষ হওয়া বোরো’র এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। জেলায় বোরো ধান চাষ সফল করতে সারের মজুদ সন্তোষজনক পর্যায়ে ছিল। বোরো চাষে সেচ সুবিধা প্রদানের জন্য ১ হাজার ৯৫৫ টি গভীর ও ৮ হাজার ৫৯৮টি অগভীর নলকূপ চালু করা হয়। অধিক হারে খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য বিএডিসি (বীজ) কৃষকদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ সরবরাহ করে।

জেলায় বোরো চাষ সফল করতে কৃষক মাঠ স্কুলের মাধ্যমে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানান, স্থানীয় জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: শফিকুল ইসলাম। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান