জয়পুরহাটে ব্রোকলি চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে কৃষক দেলোয়ার

অধিক খাদ্য গুণাগুণ সমৃদ্ধ ব্রোকলি চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সদর উপজেলার ভাদসা গুচ্ছ গ্রামের এক প্রান্তিক চাষী দেলোয়ার হেসেন।
সরেজমিন ভাদসা গুচ্ছগ্রাম এলাকা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দরিদ্র কৃষক দেলোয়ার হোসেন ১৫ শতাংশ জমিতে এবার ব্রোকলি চাষ করেন । এ ব্রোকলি চাষে কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করছে স্থানিয় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাকস ফাউন্ডেশন। ব্রোকলি দেখতে ফুল কপির মতো। তবে ব্রোকলির পাতা ও ফুল ফলের রং সবুজ। চাষ পদ্ধতি বাধা বা ফুল কপির মতো।

আর এক সপ্তাহ পরেই দেলোয়ারের ব্রোকলি বাজারে আসবে। ব্রোকলিতে আইরন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন ও হজমশক্তি বৃদ্ধিসহ নানা খাদ্য গুণাগুণ রয়েছে। বিশেষ করে চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে এর প্রচলন ও চাহিদা বেশি। তুলনামূলক বাজারে ফুল কপি বা বাধা কপির চেয়ে, ব্রোকলি বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে। ফলে ব্রোকলি চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বেশি।

ব্রোকলি চাষী দেলোয়ার হোসেন জানান, এবার ১৫ শতাংশ জমিতে এক হাজার ২শ টি ব্রোকলির চারা রোপণ করেছেন। তিন মাস মেয়াদী এ ব্রোকলি চাষে এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার টাকা। একেকটি ব্রোকলি ৩০ টাকা পিস বিক্রি করলেও ৩৬ হাজার টাকা বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান তিনি। বিষমুক্ত ভাবে এটি চাষ করা হচ্ছে। পোকা মাকড় দমনের জন্য কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা হয়েছে। ব্রোকলি চাষ লাভজনক হওয়ায় এলাকার অনেক কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। স্থানিয় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাকস ফাউন্ডেশন বীজ সরবরাহ ও আর্থিক সহযোগিতায় ওই ব্রোকলি চাষ করা হচ্ছে।

বেলে দো’আশ মাটিতে ব্রোকলির ফলন ভাল হয় এবং অধিক খাদ্য গুণাগুণ সমৃদ্ধ ব্রোকলি চাষ কৃষকদের জন্য লাভজনক বলে উল্লেখ করেন জাকস ফাউন্ডেশনের দূর্গাদহ শাখার কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন। জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: নূরুল আমিন বলেন, কৃষি ইউনিটের অধিন বিভিন্ন ফসল চাষে কৃষকদের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান