চট্টগ্রাম জহুর আহম্মেদ স্টেডিয়াম থেকে রাহুল রাজ টসে জিতে প্রথমে কেন ফিন্ডিং নেওয়া হল এ নিয়ে বেশ সমালোচনা শুরু করেছিল অনেক আলোচক। তারাই প্রথম ইনিংস শেষে মাশরাফির প্রশংসা করেছে। কারণ মাত্র ২৪৬ রানে জিম্বাবয়েকে আটকে রেখেছে বাংলাদেশ। ফর্মের তুঙ্গে থাকা বাংলাদেশর জন্য এই লক্ষ্য পার হতে বেগ পাবার কথা নয়।
দলীয় মাত্র ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। সে ধারাবাহিকতায় ৭০ রানে তারা হারায় দুই উইকেট। চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শুরুর এই ধাক্কা সামলে তৃতীয় উইকেট জুটির দৃঢ়তায় ভালোভাবেই এগিয়ে যায় অতিথি দলটি। একপর্যয়ে মনে হয়েছিল বড় সংগ্রহ গড়তে যাচ্ছে তারা। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রানে থামে সফরকারী দলটির ইনিংস।
আজ বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্রেন্ডন টেইলর, শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজার ব্যাটহাতের দৃঢ়তায় বড় সংগ্রহের আশা জাগিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত তা না পারলেও বাংলাদেশের সামনে একটা চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে তারা। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা টেইলর এদিন নেমেই বেশ বিপজ্জনক হয়ে ওঠেন। খেলেন ৭৩ বলে ৭৫ রানের একটি চমৎকার ইনিংস। যাতে নয়টি চারের মার ও একটি ছক্কা রয়েছে।
এরপর ইউলিয়ামস ৪৭ ও সিকান্দার রাজা ৪৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে এই সংগ্রহের পথ দেখান। এর আগে ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে (১৪) সাজঘরে ফিরিয়ে শুরুতেই সাফল্য এনে দিয়েছিলেন পেসার সাইফউদ্দিন। এরপর টেইলর ও জুওয়াও জুটি কিছুটা দৃঢ়তা দেখালেও মেহেদী হাসান মিরাজ এই জুটি ভাঙেন। আশা জাগিয়েও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি জুওয়াও (২০)।
অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন এদিন বলহাতে বেশ উজ্জ্বল ছিলেন। ৪৫ রানে তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। এ ছাড়া মাশরাফি, মুস্তাফিজ, মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ একটি করে উইকেট পান। এদিনের ম্যাচের বাংলাদেশ একাদশে নেই কোনো পরিবর্তন। প্রথম ম্যাচে অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান ফজলে রাব্বিকেও এই ম্যাচের একাদশে রাখা হয়েছে। আগের ম্যাচে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। চোটের কারণে কিছুটা শঙ্কা ছিল পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়েও। শেষ পর্যন্ত তাঁকেও একাদশে নেওয়া হয়।
আজকের বাজার/এমএইচ