জয়ের ধারায় ফিরেছে রাজশাহী কিংস

সাগরিকায় অবস্থিত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। শুরু থেকে ইনিংসের ১৮তম ওভার পর্যন্ত ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে রাখলেও শেষ দুই ওভারে রাজশাহী কিংসের অধিনায়কের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মুহূর্তেই পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্রপট।
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ১ চার ও ৪ ছয়ে মোট ৩২ রান আদায় করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে দলকে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৫ রানের পুঁজি এনে দেন স্যামি। দলকে রান পাহাড়ে নিয়ে যাওয়ার পথে মাত্র ১৪ বল মোকাবেলায় অপরাজিত ৪৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। ৬ ছক্কা ও ১ চারে নিজের ক্যামিও ইনিংসটি সাজান রাজশাহী কাপ্তান।
রাজশাহীর রান পাহাড়ে ওঠার পেছনে অবদান রাখেন লুক রাইট (৪২), মুমিনুল হক (২৩) ও ডোয়েন স্মিথ (১৯)। কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে বোলিং করা সাইফউদ্দিন লাভ করেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। তাছাড়া ৩৮ রান খরচায় হাসান আলী ২টি ও ৩২ রান দিয়ে আল-আমিন হোসেন একটি উইকেট লাভ করেন।
রাজশাহীর করা ১৮৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ওভারের মধ্যে ফাখার জামান ও ইমরুল কায়েসের উইকেট হারালেও তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে জয়ের লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখেন তামিম ইকবাল ও শোয়েব মালিক। দলীয় ৯১ রানের সময় ২৬ বলে ৪৫ রান করা মালিককে স্মিথ নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরে সাজঘরে ফেরালে ভাঙ্গে তামিম ও শোয়েবের মধ্যকার ৮৭ রানের জুটি।
মালিকের বিদায়ের পর জস বাটলারকে সাথে নিয়ে আবারো ইনিংস গড়ার পথে চলতে থাকেন তামিম। ৩৮ বল মোকাবেলায় ২ ছয় ও ৪ চারে পূর্ণ করেন বিপিএল ক্যারিয়ারের ১৩তম অর্ধশতক। ক্রমশ আক্রমণাত্বক ক্রিকেট খেলে বিধ্বংসী রুপ ধারণ করার পথে হাঁটতে থাকা তামিমকে ইনিংসের ১৫তম ওভারে বল করতে এসে ফাঁদে ফেলেন সামি। স্মিথের কাছে তালুবন্দী হলে ৪৫ বল মোকাবেলায় ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৬৩ রানে থামে তামিমের ইনিংস।


কুমিল্লার কাপ্তানকে ফেরানোর পর একই ওভারে তিন বলের ব্যবধানে অলক কাপালি ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের উইকেট তুলে নিয়ে রাজশাহীর জয়ের পথ পরিস্কার করেন তিনি। এরপর বাটলারও ফিরে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় কুমিল্লা। শেষ দিকে হাসান আলীর ঝড়ো ১৬ রানের ইনিংস শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে সাহায্য করে কুমিল্লাকে।
রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে ৪ ওভার বোলিং করে সামি মাত্র ৯ রান খরচায় ৪টি উইকেট শিকার করেন। তার পাশাপাশি মুস্তাফিজ ও স্মিথ দুটি করে উইকেট লাভ করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
রাজশাহী কিংসঃ ১৮৫/৭ (২০ ওভার)
স্যামি ৪৭*, রাইট ৪২; সাইফউদ্দিন ৫০/৩, হাসান ৩৮/২
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সঃ ১৫৫/১০ (১৯.১ ওভার)
তামিম ৬৩, মালিক ৪৫; সামি ৯-৪, স্মিথ ২৭/২, মুস্তাফিজ ৩২/২
ফলাফলঃ রাজশাহী কিংস ৩০ রানে জয়ী।
আজকের বাজার: সালি / ২৫ নভেম্বর ২০১৭