জয় দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু করলেন জকোভিচ, প্রথম রাউন্ড থেকেই আজারেঙ্কার বিদায়

সহজ জয়ে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু করেছেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নোভাক জকোভিচ। সোমবার মেলবোর্নের রড লেভার এরিনাতে দিনের শেষ ম্যাচে জকোভিচ মাত্র ৯১ মিনিট স্থায়ী ম্যাচে ৬-৩, ৬-১, ৬-২ গেমে ফ্রেঞ্চম্যান জেরেমি চার্ডিকে পরাজিত করে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে নবম বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে কোর্টে নেমেছেন সার্বিয়ান এই নাম্বার ওয়ান তারকা।
গত বছর মেলবোর্ন পার্কের ফাইনালে ডোমিনিক থিয়মকে পরাজিত করে ক্যারিয়ারের ১৭তম স্ল্যাম শিরোপা জয় করেছিলেন জকোভিচ। এর আগে ১৩ বার চার্ডির সাথে খেলেছেন জকোভিচ এবং প্রতিবারই জয় নিয়েই কোর্ট ছেড়েছেন। এমনকি কোন ম্যাচে একটি সেটও জিততে পারেননি চার্ডি।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে এবারের আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ম্যাচ শেষে জকোভিচ বলেছেন, ‘সমর্থকদের স্টেডিয়ামে ফিরতে দেখে অন্য রকম একটি অনুভূতি হচ্ছে। সত্যিকার অর্থেই অনেক মানুষ দেখলে আমার ভাল লাগে। গত ১২ মাসে আমার দেখা টেনিস কোর্টে এটাই সবচেয়ে বেশী সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি। অনেকসময় আমরা সমর্থকদের বিষয়গুলো বেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করি, সত্যিই তাদের দেখে আমি কৃতজ্ঞ।’
দ্বিতীয় রাউন্ডে জকোভিচের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রান্সেস টিয়াফো। এবারের ড্র’তে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে জকোভিচের সামনে সম্ভাব্য বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন ২০১৪ বিজয়ী স্ট্যান ওয়ারিঙ্কা ও বিশে^র সাবেক তিন নম্বর খেলোয়াড় মিলোস রাওনিক।
এদিকে নারীদের বিভাগে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছেন বিশে^র সাবেক এক নম্বর খেলোয়াড় ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা। যুক্তরাষ্ট্রের জেসিকা পেগুলোর কাছে সরাসরি সেটে পরাজিত হয়ে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছেন আজারেঙ্কা। এক ঘন্টা ৩৯ মিনিটের লড়াইয়ে পেগুলা ৭-৫, ৬-৪ গেমে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছেন।
দ্বিতীয় সেটে কিছুটা শ^াসকষ্ট দেখা দেয়ায় আজারেঙ্কাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। মেলবোর্নে পৌঁছানোর পর কঠোর লকডাউনের সমালোচনা করে আজারেঙ্কা জানিয়েছিলেন এই ধরনের পরিস্থিতিতে প্রস্তুতিতে ঘাটতি দেখা দিবে এবং এর প্রভাব অবশ্যই ম্যাচে পড়বে।
বিশ^ র‌্যাঙ্কিংয়ের ৬১ নম্বরে থাকা পেগুলা বলেছেন, ‘ম্যাচটি আজারেঙ্কার জন্য বেশ কঠিন হয়ে উঠেছিল। আমি শুধুমাত্র নিজের খেলার উপর মনোনিবেশ করেছি।’
পিঠের ইনজুরির কারনে প্রস্তুতিমূলক গ্র্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন ২০১২ ও ২০১৩ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন বিজয়ী আজারেঙ্কা। কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পাবার পর তিনি মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিলেন। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন কালে তার হোটেল কক্ষ থেকে বের হবার অনুমতি ছিলনা।