ঝিনাইদহে কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া গ্রাম থেকে সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্ত আবু সামা হরিণাকুন্ডু উপজেলার পৈলানপুর গ্রামের আবু তালেবের ছেলে।

মঙ্গলবার দুপুরে আবু সামাকে হরিণাকুন্ডু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

ঝিনাইদহ ‌র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার কামাল উদ্দিন জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় একটি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিনোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে আবু সামা। এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই প্রধান অভিযুক্ত আবু সামা পলাতক ছিলেন। এ মামলায় অপর দুই আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গত ১৭ নভেম্বর জাতীয় সংসদে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০২০’ পাস হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর ৯ (১) ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এখন ওই ধারায় ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে।

এর আগে, দেশে সম্প্রতি ধর্ষণের ক্রমবর্ধমান ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদের অধিবেশন না থাকায় গত ১৩ অক্টোবর ঘৃণ্য এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে এ সংক্রান্ত আইনের (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন) একটি সংশোধনী প্রস্তাব অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছিল।

বিশেষ করে সিলেট এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবির মধ্যেই সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছিল। সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান