ঝিনাইদহে সংখ্যালঘুর জমি দখলের অভিযোগ

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্নাবাজার এলাকায় সংখ্যালঘুর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা হলেন,গান্না ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের সুবোধ রায় ও তার ভাইয়ের ছেলে সুমিত রায়। অভিযুক্ত হলেন, একই ইউনিয়নের খালকুলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আলাউদ্দিন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পাইকপাড়া গ্রামের সুবোধ রায় ও তার ভাইয়ের ছেলে সুমিত রায় আর্থিক অনটনের কারণে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ১৭ শতক জমির মধ্যে সাড়ে ৮ শতক জমি খালকুলা গ্রামের আলাউদ্দিনের কাছে বিক্রি করেন।ওই জমিতে সুবোধ রায়ের আরও দুই ভাইয়ের মালিকানা রয়েছে। জমি রেজিস্ট্রি করার সময় জমির দলিলে পূর্বপাশ উল্লেখ করা হয়।

স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় জমির ক্রেতা আলা উদ্দিন জমির পশ্চিম পাশ দখলের চেষ্টা করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে অমিত রায় ঝিনাইদহ আদালতে গত ৮ সেপ্টেম্বর একটি পিটিশন দাখিল করে।পরবর্তীতে আদালত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিত ভালো রাখতে জমিতে কোন প্রকার স্থাপনা বা কাজ না করার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে।এ বিষয়ে উভয়পক্ষকে নোটিশ দেয়া হয়।

অমিত রায় অভিযোগ,‘আদালত জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।কিন্তু আলাউদ্দিন ক্ষমতার জোরে আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লোকজন নিয়ে জমিতে ঘর নির্মাণ করেছেন। আমরা তাকে কিছু বলতে গেলে আমাদের মারধর ও হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।’

আরেক জমি বিক্রেতা সুবোধ রায়ের অভিযোগ,‘আমরা জমি বিক্রি করেছি পূর্বপাশে। কিন্তু আলাউদ্দিন ক্ষমতা দেখিয়ে পশ্চিম পাশ দখল করেছেন। এই জমিতে আমার অন্য ভাইদের মালিকানা রয়েছে। আমরা সংখ্যালঘু পরিবার হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারছি না।’ অভিযুক্ত আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমি জমি কিনেছি, তাই জমি দখল করে নিয়েছি। ১৪৪ ধারা আছে কি না তা আমার জানার দরকার নেই। ওরা বেশি কথা বললে আমি ওদের নামে মামলা করব।’

এ ব্যাপারে বেতাই চন্ডিপুর পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ এস আই) খোরশেদ আলী বলেন,‘আদালত থেকে নোটিশ পাওয়ার পর উভয় পক্ষকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পরও একটি পক্ষ তা অমান্য করে ঘর নির্মাণ করছিল। ঘটনা শোনার পর সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’ খবর-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান