উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন যুদ্ধবিরতি রেখা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু আসল তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে ঠাণ্ডা নুডলস্ নিয়ে তার একটি মন্তব্য ঘিরে। দুই নেতার আনুষ্ঠানিক করমর্দনের পর হাল্কা কথা-বার্তা এবং হাস্যরসের সুযোগ ছিল।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে কিম বলেন, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের জন্য তার দেশের বিখ্যাত ঠাণ্ডা নুডলস্ নিয়ে এসেছেন। কিম বলেন, আমি খবরের দিকে নজর রাখছিলাম এবং দেখলাম লোকজন খাবার-দাবার নিয়ে অনেক কথা বলছে। তাই আমি প্রেসিডেন্ট মুনের জন্য পিয়ংইয়ং থেকে ঠাণ্ডা নুডলস্ নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, এই নুডলস্ তারা বহু দূর থেকে নিয়ে এসেছেন … কিন্তু তারপরই কৌতুক করে বলেন, আহা, আমাদের হয়তো এত দূর বলা উচিত না। তার এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বিশাল কোন ব্যাপার না হলেও, দক্ষিণ কোরিয়ায় পিয়ংইয়ং ঠাণ্ডা নুডলস্-এর জন্য এক রকম উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে।
দক্ষিণের ঠাণ্ডা নুডলস্-এর দোকানের সামনে ক্রেতাদের লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে এবং সামাজিক মাধ্যমে পিয়ইয়াং ঠাণ্ডা নুডলস্ নিয়ে কথা-বার্তা শীর্ষ বৈঠকের চেয়ে বেশি হচ্ছে।
একজন টুইট করেছেন, কিম জং উন ঠাণ্ডা নুডলস্ নিয়ে তামাশা করেছেন। এখন সেটাই শীর্ষ বৈঠকের চেয়ে বেশি ট্রেন্ড করছে। হোয়াট দ্য …
আরেকজন বিস্ময় প্রকাশ করে টুইট করেছেন, দুই কোরিয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ঘটনা ঘটছে আর দক্ষিণ কোরিয়ায় মাঠ-পর্যায়ে প্রতীকী প্রতিক্রিয়া হচ্ছে পিয়ংইয়ং ঠাণ্ডা নুডলস্ (#ন্যাংমিয়াং)-এর জন্য লম্বা লাইন। ভাবলাম বিষয়টি বেশ মজাদার।
এই উন্মাদনা সামাজিক মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দক্ষিণ কোরিয়ার যেসব রেস্তোরাঁর মেনুতে এই ঠান্ডা নুডলস্ রয়েছে, সেখানে লাইন দিয়ে পিওংইয়াং ন্যাংমিয়াং খাওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে।
সাংজু হান নামের একজন ইন্সটাগ্রামে একটি সেলফি দিয়ে লিখেছেন, দুই কোরিয়ার শীর্ষ বৈঠক উদযাপন করার জন্য আমি লাঞ্চে ঠাণ্ডা নুডলস্ খেয়েছি।
তিনি বলেন, আমি যখন আসি তখন এখানে লম্বা লাইন ছিল। রেস্তোরাঁয় বসার কোনো জায়গা ছিল না। ঠাণ্ডা নুডলস্ খাওয়ার জন্য আমাকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস সবাই একই কারণে এই রেস্তোরাঁয় এসেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থার এক রিপোর্টে বলে, পূর্ব সোলে অবস্থিত একটি রেস্তোরাঁয় এত ভিড় যে গাড়ি পার্ক করার জায়গা ছিল না।
এস/