টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়া

চরম নাটকীয়তা আর রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে রুপ নিয়েছিল আয়োজক রাশিয়া বনাম সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের মধ্যেকার নকআউট পর্বের খেলা। ১-১ সমতায় নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষ হওয়ায় অতিরিক্ত সময়েও একই ফল। ফলে টাইব্রেকারে গড়ায় রোমাঞ্চকর ম্যাচটি। আর টাইব্রেকারে স্প্যানিশদের ৪-৩ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখায় স্বাগতিক দল।

রোববার (১ জুলাই)  লুঝনিকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে রাশিয়ার সার্জেই ইগনাশেভিকের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। সের্হিয়ো রামোসকে ঠেকাতে রুশ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে তাদের জালে জড়ায় বল। তবে ৪১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলে সমতা ফিরিয়েছে স্বাগতিকরা। বক্সের ভেতর স্প্যানিশ ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকের হাতে বল লাগলে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। স্পট কিক থেকে পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল হয়নি রাশিয়ান ফরোয়ার্ড আরতিম জিউবা।

প্রথমার্ধের শেষ মুহুর্তে সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন দিয়েগো কস্তা। নাচোর কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের দারুণ শট নিয়েছিলেন কস্তা। কিন্তু সেই বলটি ঠেকিয়ে দেন রাশিয়া গোলরক্ষক। ফলে ১-১ সমতায় বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দল। শুরুতেই একটি করে পরিবর্তন করে নেয় দুই দল। ৪৬ মিনিটে ইউরি ঝিরকজভের বদলে মাঠে নামেন ভ্লাদিমির গ্রানাত। ৫৮ মিনিটেই যেমন ২-১ হতে পারতো স্কোরলাইন। ডিয়েগো কোস্তার ক্রস বক্সের ভেতর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রাশিয়ান ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ইসকো, কিন্তু গোলমুখে শট নেওয়ার সুযোগ পাননি রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। রাশিয়ার কড়া ডিফেন্সে আটকা পড়েন এই উইঙ্গার।

৭১ মিনিটে প্রথমার্ধে আত্মঘাতী গোল করা ইগনাশেভিক আবারও করে বসেন বাচ্চাসুলভ ভুল। তবে সে যাত্রায় কর্ণারের মাধ্যমে বেঁচে যায় স্বাগতিকরা। ৮৫ মিনিটে ইনিয়েস্তার ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া দুরপাল্লার শট দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় ঠেকিয়ে দেন রাশিয়ান গোলরক্ষক। ফিরতি বলে শট নেন আসপাস, সেটিও ঠেকিয়ে দেন আকিনফিভ।

নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে যোগ করা সময়েও কোন সুবিধা আদায় করতে পারেনি দুই দলের খেলোয়াড়রা। ফলে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়ায় ম্যাচ। সেখানেও ফল না আসায় টাইব্রেকারে গড়িয়েছে ম্যাচটি। টাইব্রেকারে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলো ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। টাইব্রেকারে স্পেনের কোকে এবং ইয়াগো আসপাসের শট ঠেকিয়ে নায়কে বনে যান রাশিয়ার গোলরক্ষক আকিনফিভ।

আরএম/