মান্থলি প্যামেন্ট ওর্ডার (এমপিও) ভুক্ত সব স্কুল-কলেজের টিউশন ফি,পরীক্ষার ফিসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণ করে নীতিমালা প্রণয়নের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক,চেয়ারম্যান,ভিকারুন্নেছা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ,গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান,আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ,গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান,উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষসহ নয়জনকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মচারীদের অবসরকালীন কী কী ভাতা এবং কী পরিমাণ পাবেন তা নির্ধারণ এবং ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নন- এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য অবসরকালীন কী কী ভাতা এবং কী পরিমাণ পাবেন তা নির্ধারণ করে নীতিমামলা প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে নোটিশে।
নোটিশে আরও বলা হয়, ভিকারুন্নেছা নুন স্কুলসহ রাজধানীর অনেক স্কুলের শিক্ষকদের অধিকহারে অবসর ভাতা প্রদান করা হয়। আর এ কারণেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অধিকহারে টিউশন ফি গ্রহণ করা হয়। ১৯৭৯ সালের শিক্ষক চাকরি প্রবিধানমালার ধারা ২৮ অনুযায়ী একজন শিক্ষক নিম্নলিখিত হারে গ্রাচুয়েটি পাবেন।(ক) যার চাকুরী ৫ বছর বা তার বেশী কিন্তু ১০ বছরের কম তিনি পাবেন প্রথম ৫ বছরের জন্য ৩ মাসের বেতন এবং পরবর্তী প্রতি ২ বছরের জন্য ১ মাসের বেতন পাবেন। এবং ১০ বছর বা ১০ বছরের বেশী হয় কিন্তু ২০ বছরের কম হয়, তাহলে তিনি পাবেন প্রথম ১০ বছরের জন্য ৫ মাসের বেতন এবং পরবর্তী প্রতি ৩ মাসের জন্য ১ মাসের বেতন।
কিন্তু উল্লিখিত ওই তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন আইন ছাড়া যত বছর চাকরি করবেন তিনি তত বছরের দ্বিগুণ মাসের বেতন পাবেন। অর্থাৎ একজন শিক্ষক সর্ব্বোচ্চ ৪২ বছর চাকরি করলে তিনি ৮৪ মাসের বেতন পাবেন। অথচ ওই আইন যদি অনুসরণ করা হয় তাহলে তিনি পাবেন ১৬.৬৬ অর্থাৎ প্রায় ১৭ মাসের বেতন অথচ ওই তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্মচারী সবাইকে এমপিওভুক্ত হোক বা নন- এমপিও ভুক্ত হোক সবাই ওই আইন ছাড়া পাঁচ গুণেরও বেশি টাকা নিয়ে যাচ্ছে।
নোটিশে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা, ২০০৫ এর ১০ ধারা অনুযায়ী এমপিও ভুক্ত শিক্ষক যারা চাঁদা প্রদান করবেন তারাই ঐ ধারায় নির্দিষ্ট হারে এককালীন আর্থিক সুবিধা পাবেন। এই আইনটি শুধুমাত্র এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের জন্য। সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন ছাড়া কিছুই করা যাবে না। অথচ বে-আইনিভাবে চলছে টাকার লেনদেন। ৭২ ঘন্টার মধ্যে কোন নীতিমালা বা আইন তৈরি না করলে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও্ নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজকের বাজার : এলকে/এলকে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭