টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে লড়াই করতে না পারলেও টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ছেড়ে কথা বলেনি বাংলাদেশ। বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমেও ঐ ম্যাচে বেশ ভালো লড়াই করেছে সফরকারী টাইগাররা। এতে অনেক সমর্থকই পেয়েছেন স্বস্তি।
তবে সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ ওমর বেলিমের মতে, ফরম্যাটের বিচারে টি-২০’তে ২০ রানের পরাজয় বড় ব্যবধানের হারই। সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন সাবেক তারকা ক্রিকেটার।
বেলিম বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গেলেও হার তো হারই। কেউ মনে রাখবে না এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা, অথচ জিতলে সবাই মনেরাখত। আর টি–টোয়েন্টিতে ২০ রানের হার আসলে বড় ব্যবধানেরই হার। আসলে বড় দলের সঙ্গে জিততে হলে সুযোগগুলো নিতে হবে।অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্টে জিতেছি বলেই আমাদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কারণ আমরা সুযোগগুলো নিতে পেরেছিলাম।’
লড়াই করে হার নয়, বরং জয়ই কেবল হতে পারে তৃপ্তির- অভিমত তাঁর, ‘এখন বাংলাদেশ ১৫–১৬ বছর আগের অবস্থানেই নেই যে লড়াই করেহারলেই সবাই খুশি হবে। সুযোগ এসেছিল, সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ জিততে পারত। তাতে এই যে টেস্ট ওওয়ানডেতে ক্রমাগত খারাপ খেলছে, তাতে কিছুটা সান্ত্বনার মলম লাগত। দলের ভেতর স্বস্তি ফিরত। কিন্তু সুযোগগুলো কাজে লাগাতেনা পেরেই হারতে হলো।
ভালো করার জন্য ব্যাটিংয়ে নির্দিষ্ট ফরম্যাটের বিচারে খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বেলিম। তিনি বলেন, ‘একটা সময়েবাংলাদেশে টেস্ট, ওয়ানডে, টি–টোয়েন্টি সব দলেই একই খেলোয়াড়রা খেলত। এতে মনের অজান্তেই এক খেলার ধাঁচ অন্য খেলায় চলেআসত। আমার নিজের বেলাতেও এমনটা হয়েছে। ওয়ানডে খেলার জন্য টেস্টেও আমি দ্রুত রান তুলতে চাইতাম। এখন টেস্ট ও সীমিতওভারের জন্য আলাদা ও বিশেষায়িত খেলোয়াড়দের রাখা উচিত। সৌম্যকে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টির জন্যই রাখা হোক। সাব্বিরকেটেস্টে অনেক আগেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ইমরুল, মুমিনুলকে টেস্টের জন্য আলাদা করে রাখা দরকার, যাতে একটি ফরম্যাটেরপ্রভাব অন্যটিতে না পড়ে।’
সেক্ষেত্রে টেস্ট স্পেশালিষ্ট ব্যাটসম্যানদের যদি সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ঘরোয়া লিগে দল পেটে অসুবিধা হয়? বেলিম বলেন, ‘এটাও সত্যি। শুধু টাকা নয়, গ্ল্যামারটার আকর্ষণও কম নয়। ভারতের চেতেশ্বর পূজারা আইপিএল খেলে না। কিন্তু বছরে ১০–১২টা টেস্ট খেলে, ঘরোয়া প্রথম শ্রেণিরক্রিকেট খেলে, কাউন্টি খেলে। তাতে যে উপার্জন হয় তাতে আইপিএল না খেললেও চলে। আমাদের এখানে তো সেরকম নয়। তবে বোর্ডযদি শুধু টেস্টে খেলা ক্রিকেটারদের বাড়তি টাকা দেয়, তাহলে বোধহয় কিছুটা সম্ভব।’
আজকের বাজার : সালি / ২৮ অক্টোবর ২০১৭