টি-২০ তে দ্রুততম শতকের মালিক হলেন মিলার

ইনিংসটা শেষ হতে পারতো ০ রানেই। কিন্তু ডেভিড মিলারের কপাল ভালো। রানের খাতা খোলার আগেই পেয়েছিলেন জীবন। পূর্ণ করলেন শতক। তবে এ শতক যে অন্য আট-দশটা শতকের মতো নয়। ৩৬ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলে টি-২০ ক্রিকেটে এখন সবচেয়ে দ্রুততম শতকের মালিক ডেভিড মিলার।
মিলার যখন ক্রিজে নামেন তখন দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৭৮। হাতে ছিল ৬১ বল, ৭ উইকেট। ২০ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২২৪। এখান থেকেই বোঝা যায় কি খুনে মেজাজে ছিলেন ডেভিড মিলার। নিজের দ্বিতীয় বলেই রুবেল হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন মিলার। উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম চেষ্টাও করেছিলেন। বল গ্লাভসে লাগলেও গ্লাভসবন্দী হয়নি।
জীবন পেয়ে বিধ্বংসী হয়ে উঠেন ডেভিড মিলার। বাংলাদেশের বোলারদের উপর এক ঝড় চালান। আর মিলারের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বাংলাদেশের বোলিং। একের পর এক চার-ছক্কায় যেন দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
১৮ তম ওভারের খেলা শেষে মিলারের সংগ্রহ ছিল ৫৭ রান। তখনো শতক থেকে তার দূরত্ব ৪৩ রানের। কিন্তু ১৯ তম ওভারে সাইফুদ্দিনের বলে ৩১ রান সংগ্রহ করে শতকের আশা জাগিয়ে তোলেন তিনি। কখনো লেন্থের পরিবর্তন, কখনো গতির পরিবর্তন করেছেন সাইফুদ্দিন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি তাতে। ডেভিড মিলার পাঁচ বলে হাঁকান পাঁচ ছয়। শেষ বলে নেন এক রান।
শেষ ওভারের চতুর্থ বলে দুই রান নিয়ে নিজের শতক পূর্ণ করেন মিলার। মাত্র ৩৫ বলেই শতক স্পর্শ করেন তিনি। ৩৫ বলে শতক হাঁকিয়ে ভেঙে দেন আরেক দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান রিচার্ড লেভির রেকর্ড। ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শতক হাঁকিয়েছিলেন তিনি।
মিলারের দ্রুততম শতক হাঁকানোর পর বর্তমানে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে দ্রুততম তিন শতকের মালিক তিন প্রোটিয়ান। তৃতীয় স্থানে আছেন ফাফ ডু প্লেসিস। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৬ বলে শতক পূর্ণ করেছিলেন তিনি।
আজকের বাজার : সালি / ৩০ অক্টোবর ২০১৭