টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মুজিববর্ষ উপলক্ষে বর্ণিল আলোয় আলোকিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স।

জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার সকালে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এসময় সশস্ত্র বাহিনীর (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত) একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম জানায় এবং বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।

পরে বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ আগস্টের সব শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে আয়োজিত ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

এসময় অন্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, বঙ্গবন্ধুর নাতনি ও শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, বঙ্গবন্ধুর নাতি ও শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান সিদ্দিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সমাধি প্রাঙ্গণে রাখা এক পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

এর আগে সমাধি প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ও শেখ হেলাল উদ্দিন।

পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের সাথে আবারও বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আরও একবার বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি।

এর আগে, সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর হেলিকপ্টারে করে টুঙ্গিপাড়া যান প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, যথাযোগ্য মর্যাদায় মঙ্গলবার দেশব্যাপী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে।

দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও উদযাপন করা হচ্ছে। এটি সরকারি ছুটির দিন।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি ইউনেসকোর উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী মুজিব বর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। সুত্র – ইউএনবি।

আজকের বাজার / এ.এ