টেকনোলজি সেন্টার রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণ সহজ করবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর ও গাজীপুর হাই-টেক পার্কে টেকনোজি সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে দেশের রফতানি পণ্য বহুমূখীকরণ অনেক সহজ হবে। একইসাথে এর মাধ্যমে ম্যান্যুফ্যাকচারিং খাতের আধুনিকায়ন,আধুনিক প্রযুক্তির সরবরাহ,উদ্ভাবন সহায়তা ও দক্ষ কর্মী তৈরী হবে। যা আন্তর্জাতিকমানের মানসম্মত পণ্য তৈরিতে বিশেষ সহায়ক হবে।
আজ মঙ্গলবার চট্রগ্রামের মিরসরাই ইকোনমিক জোনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) ১০ একর জমির উপর এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে ৪ একর জমিতে দু’টি পৃথক টেকনোলজি সেন্টার স্থাপনের জমি লিজ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি জুম প্লাটফর্মে আয়োজন করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পেটেটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় এই দুই টেকনোলজি সেন্টার স্থাপন হচ্ছে।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প এবং বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক,বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী,বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম ও বিশ^ব্যাংক গ্রুপের বেসরকারিখাত বিশেষজ্ঞ হোসনে আরা ফেরদৌস সুমি প্রমূখ বক্তব্য রখেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,দেশের রফতাণি পণ্যের ৮৪ শতাংশ জায়গা দখল করে আছে পোশাক খাত। অন্য কোন পণ্য রফতানি বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছাতে পারছে না। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন চাই। আশা করি টেকনোলজি সেন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের মান্নোয়ন ও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি হবে। যা বৈশি^ক বাজারে নতুন নতুন পণ্য রফতানিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
টেকনোলজি সেন্টার পণ্যের উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে বিশেষ সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, পণ্য বহুমুখীকরণে আমরা সফল হতে পারিনি। এর জন্য প্রশিক্ষিত জনবল,আধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ প্রয়োজন। টেকনোলজি সেন্টার এসব অভাব পূরণ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দ্রুততার সাথে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
উপদেষ্টা জানান,দেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়নে সরকার করোনার মধ্যেও কাজ করে চলেছে। ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুসহ সহজে ব্যবসা করার সূচকের উন্নতির প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে সহজে ব্যবসা করার সূচকে বাংলাদেশ দুই অংকের ঘরে চলে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। কিন্তু এর মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল আছে। সরকার অনেক সাহসী পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি জানান,হাইটেক পার্ক আকর্ষনীয় বিনিয়োগ কেন্দ্র হয়ে উঠছে বলে।
উল্লেখ্য, দু’টি চুক্তিপত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এক্সপোর্ট কম্পেটেটিভনেস ফর জবস ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম স্বাক্ষর করেন। অপরদিকে বেজার পক্ষে সংস্থার নির্বাহী সদস্য আব্দুল মান্নান ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষে এর পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।