ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এফটিপি (ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম) অনুযায়ী চলতি সূচিতে বাংলাদেশের ভাগ্যে আছে ৩৩ টি টেস্ট। তবে বছরখানেক ধরে নতুন সূচি নিয়ে কাজ করছিল আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দেশগুলো। অবশেষে আগামী চার বছরের টেস্টের একটি সূচি দাঁড় করানো হয়েছে। এতে বাংলাদেশের ভাগ্যে আছে ৩৫ টি টেস্ট। বিগ-থ্রি’র পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।
নতুন সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশের চেয়ে বেশি টেস্ট খেলবে বিগ থ্রি- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারত। সবচেয়ে বেশি টেস্ট জুটেছে ইংল্যান্ডের ভাগ্যে। ২০১৯-২০২৩ চার বছরে তারা খেলবে ৪৬ টি টেস্ট। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া ৪০ টি। ভারত খেলবে ৩৭ টি টেস্ট।
বিগ থ্রি’র পরেই আছে বাংলাদেশের অবস্থান। টাইগাররা চার বছরে খেলবে ৩৫ টি টেস্ট। আগের সূচি থেকে দুইটি টেস্ট বেড়েছে। ২০১৯-২০২৩ মৌসুমে ৩২টি টেস্ট খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা, ২৯টি টেস্ট খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা, ২৮টি নিউজিল্যান্ড, ২৮টি পাকিস্তান, ১৭টি জিম্বাবুয়ে। এই বছরে টেস্টের আঙিনায় পা রাখা নতুন দুই সদস্য আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের ভাগ্যে আছে যথাক্রমে ১৬ টি ও ১৩ টি টেস্ট।
নতূন সূচি অনুযায়ী এই চার বছরে বাংলাদেশ খেলবে ৪৫টি ওয়ানডে। সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬২ টি; এরপর ভারত ৬১টি। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা খেলবে ৪৮টি করে। বাংলাদেশের, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের ভাগ্যে ৪৫ টি একদিনের ম্যাচ। ইংল্যান্ড ৪৩টি, আয়ারল্যান্ড ৪২টি, আফগানিস্তান ৪১টি, জিম্বাবুয়ে ৪০টি ও পাকিস্তান খেলবে ৩৮ ওয়ানডে।
এই সময়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি খেলবে ৪২টি। সবচেয়ে বেশি ৬১ টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫৬টি। নিউজিল্যান্ড ৪৯, আয়ারল্যান্ড ৪৪, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা ৪২টি, ইংল্যান্ড ৪১, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান ৩৮, আফগানিহমশান ৩৪ ও জিম্বাবুয়ে খেলবে ৩১টি।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি প্রধান নির্বাহীদের সভায় এই নতুন সূচি পাঠানো হবে। সেখানে অনুমোদন পেলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে আগামী জুনে আইসিসি বোর্ড সভায়। তবে নতুন এই সূচি পরিবর্তনের সম্ভাবনা অনেক কম।
আজকের বাজার: সালি/ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭