৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নেওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি। ট্রাম্পের এই ঘোষণা প্রত্যাখান করেছে ওআইসিভুক্ত ৫৭ টি মুসলিম দেশ। তারা পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণার দাবিও জানিয়েছেন।
ওআইসির জরুরি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখানের ঘোষণা দেন ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমদ আল-ওথাইমিন। এ সময় তিনি মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সে ইস্যুতে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘ওআইসি আমেরিকার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছে এবং তাদের এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে মুসলমানদের উত্তেজনার দিকে উসকে দেওয়া হয়েছে। এটা এ অঞ্চলে এবং বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা তৈরি করবে।’
বাংলাদেশ, তুরস্ক, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কুয়েত ও কাতারসহ মুসলিম দেশগুলোর নেতারা সম্মেলনে অংশ নেন। মুসলিম দেশগুলোর বাইরে ফিলিস্তিনিদের ন্যায়সংগত আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বৈঠকে অংশ নেন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বলেন, জেরুজালেম ইসুতে মুসলিম দেশগুলোর নিশ্চুপ থাকার সুযোগ নেই।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেন, মার্কিন সিদ্ধান্ত অকার্যকর, অবৈধ ও বেআইনি। এ উসকানিমূলক সিদ্ধান্ত থেকে তাদের অবশ্যই সরে আসতে হবে। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দ্রুত পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে আর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মানা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। জেরুজালেমকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করায় তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে সম্মেলনে অংশ নেয়নি সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের কোনো রাষ্ট্র কিংবা সরকার প্রধান। তারা সম্মেলনে মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। সৌদি আরবের সম্মতিতে ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করেছেন এমন অভিযোগের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটল।
সূত্র: আল জাজিরা।
আজকের বাজার : এলকে/ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭