মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বহুল প্রতিক্ষিত শীর্ষ বৈঠকটি হবে আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, দুই নেতাই চেষ্টা করবেন যেন এ বৈঠকটি বিশ্বশান্তির জন্য একটা অনন্য মুহূর্ত হয়ে ওঠে। খবর বিবিসির।
গণমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শীর্ষ বৈঠকটির লক্ষ্য হবে ওয়াশিংটন এবং পিয়ংইয়ং-এর মধ্যে সামরিক উত্তেজনা কমিয়ে আনা, এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির একটা সম্ভাব্য সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা করা।
উত্তর কোরিয়ার হাতে আটক থাকা তিনজন আমেরিকানের মুক্তির কয়েক ঘন্টা পরই মি. ট্রাম্পের দিক থেকে এ ঘোষণা এসেছে। উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা তাদের পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেবে এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিও স্থগিত করবে।
গত মার্চ মাসে কিম জং-উনের দেয়া বৈঠকের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সাথে কিমের বৈঠকে বসার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পের পিয়ংইয়ং সফরকালে আটকদের মুক্তির খবর আসে।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন কিম ও তার মধ্যেকার বৈঠকের তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মাইক পম্পে উত্তর কোরিয়া সফরের আগে বৈঠকের স্থান ও সময় চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হয়নি।
মার্কিন কর্মকর্তারা বৈঠকের জন্য দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী বেসামরিকীকৃত এলাকা (ডিমিলিটারাইজড জোন) অথবা মঙ্গোলিয়াকে বিবেচনায় নিয়েছিলেন। অবশেষে বৈঠকের জন্য সিঙ্গাপুরকেই চূড়ান্তভাবে বেছে নেয়া হলো।
সিঙ্গাপুর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পে ও হোয়াইট হাউস প্রধান জন কেলির পছন্দের তালিকায় ছিল।
বৈঠকে মূলত উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র নিয়েই আলোচনা হবে। এ ছাড়াও বৈঠকটির লক্ষ্য হবে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা কমিয়ে আনা।
রাসেল/