বাজারে বিক্রিকৃত ট্রেজারি বিল ও বন্ড পুনরায় কিনে (Buy-back) নেবে সরকার। ট্রেজারি বন্ডের সংখ্যা কমানো ও এগুলোর মেয়াদ অবসায়নের (Redemption) বিষয়টি সুষম করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক বাই-ব্যাক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালাও প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সুত্রে জানা যায়, বাজেট ঘাটতি মেটানোসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে অর্থ সংগ্রহের জন্য সরকার ট্রেজারি বিল ও ট্রেজারি বন্ড ইস্যু করে থাকে। ট্রেজারি বিলগুলো হয় স্বল্প মেয়াদি, সাধারণত এর মেয়াদ হয় ৯০ দিন। নিবাসি ও অনিবাসি ব্যক্তি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যাদের কারেন্ট একাউন্ট নেই, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কারেন্ট একাউন্ট রয়েছে এমন কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাই-ব্যাক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে।
অন্যদিকে ট্রেজারি বন্ডের মেয়াদ ২ বছর থেকে ২০ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। বর্তমানে ক্রেতাকে বন্ডের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা ধারণ করতে হয়; সরকার তা কিনে নেয় না। বাই-ব্যাক চালু হলে ক্রেতাকে মেয়াদ শেষ হওয়ার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে না। দর-দাম মিলে গেলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সরকারের কাছে তা বিক্রি করে দিতে পারবে।
বাই-ব্যক নীতিমালা অনুসারে অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের নির্ধারণ করে দেওয়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রিভার্জ অকশন ও ওভার দ্যা কাউন্টার এর মাধ্যমে ট্রেজারি বিল ও বন্ড বাই-ব্যাক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এক লাখ টাকা বা এক লাখ টাকার গুণিতক অংকের বিল ও বন্ড বাই-ব্যাক করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কারেন্ট একাউন্ট আছে এমন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাই-ব্যাক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে।
আজকের বাজার:জেএস?এলকে / ১০ জানুয়ারি ২০১৮
