আসন্ন পবিত্র ঈদুর ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য রেলপথের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (০১ জুন) ৮টা থেকে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনের আগাম টিকিট বিক্রির এ কার্যক্রম শুরু হয়।
এবছর কমলাপুর রেলস্টেশনে ২৬টি কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে দুটি কাউন্টার নারীদের জন্য সংরক্ষিত।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকেও একই দিনে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
জানা যায়, মোট টিকিটের ৭৫ শতাংশ কাউন্টারে, আর বাকি ২৫ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। আগামী ১১ জুন থেকে আন্তনগর ট্রেনগুলো সাপ্তাহিক ছুটিতেও চলাচল করবে।
আজ আগামী ১০ জুনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শনিবার ১১ জুনের, রোববার ১২, সোমবার ১৩, মঙ্গলবার ১৪ এবং বুধবার ১৫ জুনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে।
টিকিট কিনতে কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রচুর মানুষ এসেছেন। সেখানে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। ভোররাত থেকে টিকিট কাউন্টারগুলোর সামনে লাইনে দাঁড়ান টিকিটপ্রত্যাশীরা।
অপেক্ষমাণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অগ্রিম টিকিট পেতে তাদের অনেকেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগেই স্টেশনে হাজির হয়েছেন। ফলে লাইনে দাঁড়িয়েই ইফতার ও সেহরি সেরেছেন তারা।
গত ২৪ মে রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, এবছর ঈদ উপলক্ষে বিশেষ সাত জোড়া ট্রেন দেওয়া হবে। এগুলো হলো ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রেলপথে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলপথে চাঁদপুর স্পেশাল-১ ও চাঁদপুর স্পেশাল-২, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রেলপথে রাজশাহী স্পেশাল, পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুর রেলপথে পার্বতীপুর স্পেশাল। এই পাঁচটি স্পেশাল ট্রেন ঈদের আগে ১৩ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত চলবে। ঈদের পরে চলবে ১৮ থেকে ২৪ জুন।
এ ছাড়া ঈদের দিন চলবে বাকি দুটি স্পেশাল ট্রেন। ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে চলবে শোলাকিয়া স্পেশাল ১ ও ২ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে চলবে শোলাকিয়া স্পেশাল ২।
ঈদ উপলক্ষে এবার প্রতিদিন পৌনে তিন লাখ যাত্রী গন্তব্যে যেতে পারবে বলেও জানান রেলপথমন্ত্রী । তিনি জানান, রেলে সাধারণ সময়ে ২ লাখ ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারেন। ঈদ উপলক্ষে সর্বোচ্চ তিন লাখ মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারবেন।
আজকের বাজার/ এমএইচ