ঠাকুরগাঁওয়ে ডাম্পিংয়ে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার যানবাহন

ঠাকুরগাঁও জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিভিন্ন সময়ে আটক হয় ট্রাক, মিনি ট্রাক, ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যান। আটক বা জব্দকৃত এসবস যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি।

কোর্ট ভবনের কক্ষের ভিতরে ও বাইরে দুই শতাধিক মোটর সাইকেল ফেলে রাখা হয়েছে। ঘরের ভিতরে জায়গা না হওয়ায় খোলা আকাশের নীচে বছরের পর বছর পড়ে থাকা কোটি কোটি টাকার এসব যানবাহন নষ্ট হয়ে পড়েছে।

কোর্ট সাব ইন্সপেক্টর (সিএসআই) আহম্মদউল্লাহ জানান, পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি আলামত হিসাবে আটক বা জব্দকৃত প্রায় সব মোটর সাইকেলই চোরাচালানের কাজে বিশেষ করে ফেন্সিডিল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়।

তিনি জানান, তিনি এখানে নতুন এসেছেন। তবে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা প্রায় দু’শ হতে পারে। ১০/১২ বছর যাবৎ এই মামলাগুলি বিচারাধীন রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় মোটরসাইকেল এভাবেই পড়ে রয়েছে। আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করবে এই সমস্ত যানবাহনের ভবিষ্যৎ।

তিনি আরো জানান, জেলার বিভিন্ন থানাতেও মোটর সাইকেল আটক রয়েছে। মালিকবিহীন গাড়ি আটক হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্দিষ্ট সময়ের পর সেগুলি নিলামের আদেশ দেন। পরে নিয়ম মেনে নিলাম ডাকের ব্যবস্থা করা হয়। নিলাম কমিটি এর দাম নির্ধারণ করবে।

ঠাকুরগাঁও বিআরটিএ’র কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান, পড়ে থাকা এই যানবাহনের মূল্য আনুমানিক ৫ কোটি টাকা হতে পারে। বছরের পর বছর এ সকল যানবাহন পড়ে থেকে প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। নিলাম হলে অনেক যানবাহন ভাংগারির দোকানে লোহালক্কর হিসাবে বিক্রি হতে পারে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম জানান, এটা দীর্ঘ দিনের সমস্যা। শুধু মোটর সাইকেলই নয়, ট্রাক, কার, ট্রলি ইত্যাদি বিভিন্ন যানবাহন বছরের পর বছর অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মামলার দীর্ঘসূত্রিতার জন্য রাষ্ট্রের অনেক সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। মামলাগুলি দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ