শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২০১৭ সালে মুনাফা বাড়লেও লভ্যাংশ ঘোষণার পরিমাণ অপরিবর্তিত রয়েছে। ওই বছরের জন্য ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ মুনাফার ২৪ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে বাকি ৭৬ শতাংশ কোম্পানির রিজার্ভে যোগ হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছিল ৮.৮১ টাকা। এর বিপরীতে ব্যাংকটির পর্ষদ ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। তবে ২০১৭ সালে ইপিএস ৩৯ শতাংশ বেড়ে ১২.২৮ টাকা হলেও লভ্যাংশের পরিমাণ অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১২.২৮ টাকা। আর এই মুনাফার বিপরীতে কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ শতাংশ হারে প্রতিটি শেয়ারে ৩ টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা মুনাফার ২৪ শতাংশ। বাকি ৭৬ শতাংশ কোম্পানির রিজার্ভে যোগ হবে।
কোম্পানিটির ২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি ১২.২৮ টাকা হিসেবে মোট ২৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এরমধ্যে শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা নগদ হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদের ৬০ কোটি টাকার নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে। আর বাকি ১৮৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা রিজার্ভে যোগ হবে।
২০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের ডাচ-বাংলা ব্যাংকে ১ হাজার ৫০৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে। তবে ২০১৭ সালে মুনাফার ২৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করায়, বাকি ৭৬ শতাংশ বা ১৮৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা রিজার্ভে যোগ হবে।
এর আগে ২০১২ সালে মুনাফার ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের মাধ্যমে বাকি ৬৫ শতাংশই রিজার্ভে রাখা হয়েছিল। এছাড়া ২০১৩ সালে ৬০ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৬৪ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৭৪ শতাংশ ও ২০১৬ সালে মুনাফার ৬৬ শতাংশ রিজার্ভে রাখা হয়।
উল্লেখ্য শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল ১৪১.৯০ টাকায়।
আরএম/