স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত হবে। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ মিললে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার ৮ জানুয়ারি বিকেলে নাখালপাড়ায় শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
হোসেন আলী স্কুলের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের যত বড় কর্মকর্তাই হোক না কেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তিনি (ডিআইজি) যদি এমন গর্হিত কাজ করেন তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদন্ত করা হচ্ছে।’
সোমবার ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮’ শুরুর আগেই আলোচনায় আসেন ডিআইজি মিজান। তার বিরুদ্ধে তুলে নিয়ে বিয়ে করে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন এক নারী। যদিও মিজান ওই নারীকে প্রতারক বলে দাবি করেছেন।
ওই নারী জানান, গত বছরের জুলাই মাসে তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজান। পরে বেইলি রোডের মিজানের বাসায় নিয়ে তিনদিন আটকে রাখা হয়েছিল তাকে। আটকে রাখার পর বগুড়া থেকে তার মা’কে ১৭ জুলাই ডেকে আনা হয় এবং ৫০ লাখ টাকা কাবিননামায় মিজানকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কয়েক মাস কোনো সমস্যা না হলেও ফেসবুকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি ছবি দেয়ার পর ক্ষেপে যান মিজান। বাড়ি ভাঙচুরের একটি ‘মিথ্যা মামলা’য় তাকে গত ১২ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। সেই মামলায় জামিন পাওয়ার পর মিথ্যা কাবিননামা তৈরির অভিযোগে আরেকটি মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়।
দুটি মামলায় জামিনে বেরিয়ে আসার পর পুলিশ কর্মকর্তা মিজানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন ওই নারী।
আজকের বাজার:এলকে/ ৮ জানুয়ারি ২০১৮