ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের ব্যবধানে টার্নওভার কমেছে ১৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে ‘এ’ ক্যাটাগরি কোম্পানির শেয়ারের টার্নওভার কমলেও সামান্য বেড়েছে ‘বি’ ক্যাটাগরির। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গেলো সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩ হাজার ৮৮৩ কোটি ৮৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকা টার্নওভার হয়েছে। আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৫০৬ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে টার্নওভার কমেছে ৬২২ কোটি ৪৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বা ১৩ দশমিক ৮১ শতাংশ।
dseএদিকে, মোট টার্নওভারের মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরি কোম্পানির অংশগ্রহণ ৯০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৯৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। গেলো সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ারের ৩ হাজার ৫০৮ কোটি ৬৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা টার্নওভার হয়েছে। আগের সপ্তাহে তা ছিল ৪ হাজার ১৯৬ কোটি ৫২ লাখ ২৬ হাজার টাকা। এক সপ্তাহে আলোচ্য ক্যাটাগরির টার্নওভার কমেছে ৬৮৭ কোটি ৮৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
গেলো সপ্তাহে ডিএসইর মোট টার্নওভারে ‘বি’ ক্যাটাগরির অংশগ্রহণ ছিল ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ, আগের সপ্তাহে তা ছিল ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। গেলো সপ্তাহে ‘বি’ ক্যাটাগরির ২১২ কোটি ১৯ লাখ ৫১ হাজার টাকার শেয়ার টার্নওভার হয়েছে, আগের সপ্তাহে তা ছিল ১২৩ কোটি ১৫ লাখ ১২ হাজার টাকা। এছাড়া মোট টার্নওভারে ‘এন’ ক্যাটাগরির অংশগ্রহণ ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ‘জেড’ ক্যাটাগরির ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
উল্লেখ, বাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করে এবং শেয়ার হোল্ডারদের জন্য নূন্যতম ১০ শতাংশ বা তার চেয়ে অধিক লভ্যাংশ দেয় সেসব প্রতিষ্ঠান ‘এ’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভূক্ত। তাছাড়া যেসব কোম্পানি নিয়মিত এজিএম করে কিন্তু ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেয় সেগুলো ‘বি’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভূক্ত। অপরদিকে যেসব কোম্পানি নিয়মিত এজিএম করে না, লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ, লোকসানে পড়েছে, উৎপাদন বন্ধ সেব প্রতিষ্ঠান ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে এবং নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ‘এন’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভূক্ত।