ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তায় মেয়েদের সচেতনতা’ কর্মশালার উদ্বোধনে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডিজিটাল আইন সামনের অধিবেশনে পাশ করার আশা ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন,নারীসহ সবার জন্য সাইবার স্পেসকে আরও নিরাপদ করতে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে এবং নিচ্ছে।
কর্মশালার উদ্বোধন করে বেলা ১২টার দিকে সচিবালয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ে দেশের কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মোস্তাফা জব্বার।
প্রসঙ্গত, এবছর ২৯ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ। নতুন আইনের ১৭ থেকে ৩৮ ধারায় বিভিন্ন অপরাধ ও শাস্তির বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।যা নিয়ে সাংবাদিক মহল সংশয় প্রকাশ করেছে।
৫৭ ধারার ভুক্তভোগী ও সরকারি পর্যায়ের অনিয়ম-দুর্নীতি জনগণের নজরে আনা সাংবাদিকদের মতে নতুন আইনের ৩২ ধারা গুপ্তচরবৃত্তি রোধে করা হলেও ৫৭ ধারার মতো এই ধারাটি সাংবাদিকদের সত্য প্রকাশে বাধার দেয়াল হবে বলে মনে করছেন সাংবাদিকরা।
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ৩২ ধারায় বলা হয়েছে: যদি কোনও ব্যক্তি বে-আইনি প্রবেশের মাধ্যমে কোনও সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ কোনও সংস্থার কোনও ধরনের অতি গোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত, কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনও ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করেন বা করতে সহায়তা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে কম্পিউটার বা ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ।
আর এই অপরাধের শাস্তি হতে পারে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৫ লাখ টাকা জরিমানা।
তবে এই ধারায় সাংবাদিকদের শঙ্কা এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য কোন প্রতিবন্ধকতার সম্ভাবনা নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন সরকারের একাধিক মন্ত্রী।
আজকের বাজার/আরজেড