ডিমের খোসার নানা গুণ!

স্বাস্থ্যকর, প্রাণিজ প্রোটিনে ভরপুর ডিম খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খৌঁজে পাওয়া মুসকিল। আর শিক্ষার্থীদের হোস্টেল জীবনে তো ডিমের জুড়ি মেলা ভার। শিশুরাও অন্যান্য খাবারের চেয়ে ডিম বা ডিম দিয়ে তৈরি যে কোনও খাবারই বেশি পছন্দ করে। ডিম কেবল খাদ্য হিসাবেই নয়, রূপচর্চা সহায়ক নানা কারণেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় ডিম।

ডিম ছাড়া আমাদের একদিনও চলে না। তবে ডিমের খোসাও যে নানা রকম প্রয়োজনে আসতে পারে তা জানেন কী? ডিমের খোসায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, গ্লুকোসামিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, কোলাজেন। এই সব যৌগ শরীরের নানা ব্যাধি, মূলত, ব্যথা-বেদনা সারাতে কাজে আসে। পাশাপাশি নানা রূপচর্চায় ডিমের খোসা ব্যবহৃত হয়।

আসুন আমরা জেনে নিই ডিমের খোসার গুণাগুণ:

১. ডিমের খোসায় রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম কার্বনেট, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম। বাড়ির বাগানে বা কোনও গাছের গোড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। পোকার আক্রমণ গাছের ধারে কাছেও আসবে না।

২. ত্বক পরিচর্যাতেও ডিমের খোসা খুব কার্যকর। ডিমের সাদা অংশে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন। আপনার দরকারি ফেস প্যাক তৈরি। এবার তা মুখে ১৫ মিনিট মতো লাগিয়ে রেখে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। মুখে পুরনো দাগ বা ব্রণর সমস্যা থাকলে এই প্যাক সহজ সমাধান।

৩. এক টেবিল চামচ চিনি বা গুড়ের সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ ও ডিমের খোসার গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে সহজেই ত্বকের বলিরেখা দূর হবে, বয়সের ছাপ কমিয়ে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৪. তিন টেবিল চামচ ডিমের খোসার গুঁড়ার সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক পরিষ্কার ও দাগহীন হবে।

৫. অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে ডিমের খোসার গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। এটি ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এবং মরা কোষ দূর করে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে।

৬. কোনও কারণে চা বা কফি খুব ফুটিয়ে ফেলেছেন? তেতো হওয়ার ভয়ে ফেলে দেবেন না। ডিম ভেঙে তার খোসা ধুয়ে বড় টুকরোয় ভেঙে ছড়িয়ে দিন চা বা কফিতে। তারপর আরও একবার ছেঁকে নিন চা। ডিমের খোসার হায়ালুরোনিক অ্যাসিড টেনে নেবে তেতো ভাব।

৭. অনেক সময় রান্নাঘরের সিঙ্ক ময়লা জমে বন্ধ হয়ে যায়। এই সমস্যার সমাধানও করবে ডিমের খোসা। খোসা মিহি গুঁড়ো করে সিঙ্কের মুখে দিয়ে কল চালিয়ে দিন! দেখবেন সিঙ্কের মুখ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। বাসনের পোড়া দাগ দূর করতেও ডিমকে কাজে লাগান। ডিশ ওয়াশারের সঙ্গে ডিমের খোসা গুঁড়ো মিশিয়ে বাসন মাজুন! পোড়া দাগ নিমেষে গায়েব!

৮. বাত বা গাঁটের ব্যথা কমিয়ে আরাম দেয় ডিমের খোসা। আপেল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন দুই রেখে দিন। গলে মিশে যাবে খোসা। এই মিশ্রণ লাগান ব্যথার জায়গায়। ব্যথা কমে আরাম পাবেন।