সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে নাটকীয়ভাবে ৩ রানে হারিয়ে প্লে অফের সম্ভাবনা জাগিয়ে রাখল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আবারও নায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স।
৩৯ বলে ৬৯ রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলে দলের জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। তবে ব্যাটিংয়ের চেয়ে এই প্রোটিয়ার ফিল্ডিংটাই সবার মুখে চলে আসছে আগে। তার নেয়া আলেক্স হেলসের ক্যাচটির রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারছেন না ক্রিকেটপ্রেমীরা।
৬ উইকেটে বেঙ্গালুরুর করা ২১৮ রান তাড়া করতে নেমে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিলেন সানরাইজার্সের ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। অষ্টম ওভারে মঈন আলীর শেষ বলটি ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা মারার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। টাইমিং ভালো হওয়ায় হেলস ভেবেছিলেন বলটা বাউন্ডারি সীমানা পেরিয়ে গেছে। কিন্তু হেলস ঘুণাক্ষরেও জানতেন না তাঁর জন্য চমক অপেক্ষা করছে।
শুধু হেলস নয়, ডি ভিলিয়ার্স আসলে সবাইকেই চমকে দিয়েছেন। বলটা বাউন্ডারি সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরেই লাফ দিয়েছিলেন এই প্রোটিয়া। কিন্তু বলের নিচে না থাকায় ক্যাচটা সঠিক ‘জাজমেন্ট’ করে লুফে নেওয়ার অসুবিধা ছিল। ডি ভিলিয়ার্স করলেন কি, শূন্যে থাকা অবস্থায়ই ডান হাতটা বাড়িয়ে বলটা বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে লুফে নিলেন!
কিন্তু তখনো সব গড়বড় হয়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। কারণ, ডি ভিলিয়ার্স শূন্যে লাফিয়ে ক্যাচটা নিলেও বাউন্ডারি সীমানার একেবারে পাশেই ছিলেন। অর্থাৎ, শূন্য থেকে মাটিতে নামার সময় বাউন্ডারি সীমানার সঙ্গে পা লেগে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল। কিন্তু সেরা ফিল্ডারেরা যে এই ছোটখাটো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলোও ভীষণ দক্ষতার সঙ্গে সামলে থাকেন সেটা বোঝা যায় ক্যাচটা ধরে তাঁর মাটিতে নামার মুহূর্তটি দেখলে। এতটাই সাবলীল যে তখন অনেকে মনে করতেই পারেন, এত কঠিন ক্যাচ ধরাও কত সহজ!
সেটা সম্ভব হয়েছে ডি ভিলিয়ার্সের জন্যই। এমন ক্যাচ দেখে তাঁর সতীর্থরাও নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি। একেকজন যেন ১০০ মিটার স্প্রিন্টের গতিতে ছুটলেন ডি ভিলিয়ার্সের দিকে। ম্যাচ শেষে কোহলি বলেছেন, ‘এবি স্পাইডারম্যানের মতো ক্যাচ নিয়েছে। সাধারণ কোনো মানুষের পক্ষে এটা সম্ভব না।’
৩৬০ ডিগ্রিখ্যাত ব্যাটসম্যানের শটেরও ভূয়সী প্রশংসা করে কোহলি বলেন, তার শট আমাকে সবসময় মুগ্ধ করে। এক রকম তার স্কিলে আমি মজে আছি।
অনবদ্য পারফরম করে বেঙ্গালুরুকে শেষ চারের দৌড়ে রাখায় ডি ভিলিয়ার্সের হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
এই জয়ে শুধু দুই পয়েন্টই অর্জন করেনি কোহলি বাহিনী। ভালো নেট রানরেট থাকায় টেবিলে পাঁচে উঠে গেছেন তারা। আগামীকাল রাজস্থান রয়্যালসকে হারাতে পারলে প্লে অফে ওঠার জোর সম্ভাবনা থাকবে তাদের।
আজকের বাজার/ এমএইচ