ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং অ্যাজেন্সি, সংক্ষেপে ওয়াডা। সংস্থাটির উদ্যোগে গত বছর বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের ডোপ টেস্ট করা হয়েছিল। সম্প্রতি ওয়াডার পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে সেই ডোপ টেস্টের ফল। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মাদকজাতীয় নিষিদ্ধ এক ধরণের ঔষধ সেবন করেছেন ভারতীয় এক ক্রিকেটার!
জানা গেছে, ২০১৬ সালে ১৩৮ জন ভারতীয় ক্রিকেটারের মূত্র নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে ডোপ টেস্ট করিয়েছিল সংস্থাটি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৩৭ জন ক্রিকেটার ডোপ-মুক্ত ধরা পড়লেও একজনের মূত্রে মিলেছে মাদকের অস্তিত্ব। যদিও সেই ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম এখন অবধি গোপন রেখেছে মাদক বিরোধী সংস্থাটি।
ওয়াডা থেকে জানানো হয়েছে, যখন ডোপ টেস্ট করা হয়েছিল, তখন ভারতে চলছিল রঞ্জি ট্রফি, দিলীপ ট্রফি, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ও ইরানি ট্রফির মতো গুরুত্বপূর্ণ আসর। তাই সেই ক্রিকেটার যে মাদক গ্রহণ করে ক্রিকেট খেলছিলেন সেটি অনেকটাই নিশ্চিত।
এমন খবর প্রকাশের পর উৎসুক ক্রিকেট-বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঐ ক্রিকেটার ভারত জাতীয় দলের কোনো সদস্য কি না। ধারণা করা হচ্ছে, এ ব্যাপারে আইসিসির পক্ষ থেকে বিবৃতি এলে প্রকাশ করা হতে পারে তার নাম।
এদিকে একই সাথে আরও দুই ক্রিকেট খেলুড়ে এশিয়ান পরাশক্তি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ৭৬ জন ক্রিকেটারের ডোপ টেস্ট করে ওয়াডা। তবে এই ৭৬ ক্রিকেটারের কারও মূত্র নমুনাতেই মাদকের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে। দুই দেশের জন্যই এটি হয়ে দাঁড়িয়েছে বিরাট এক সুখবর।
ক্রিকেটকে দুর্নীতি, ফিক্সিং ও মাদকমুক্ত রাখতে বিগত কয়েক বছর ধরে সোচ্চার আইসিসি। এমন অবস্থায় ভারতীয় ঐ নাম না জানা ক্রিকেটারের ডোপ পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি ভারতের জন্য বড় এক ধাক্কাই। মাঠের পারফরমেন্সের হতাশা আর পিচ-টেম্পারিং ইস্যু নিয়ে আলোচিত ভারত এই ব্যাপারটি কীভাবে সামলায়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
আজকের বাজার: সালি / ২৮ অক্টোবর ২০১৭