উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক হামলার হুমকি মোকাবেলায় নতুন পদক্ষেপ হিসেবে ড্রোন ও রোবটের সমন্বয়ে একটি বিশেষ বাহিনী তৈরি করছে দক্ষিণ কোরিয়া। ইসরায়েলী প্রযুক্তিতে তৈরী এই বিশেষ বাহিনীর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ড্রোনবট’।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইওনহ্যাপ এক সামরিক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, আগামী বছর এই ড্রোনবট ইউনিটটি চালু হবে এবং এর কারণে যুদ্ধের রীতিনীতি সম্পূর্ণ বদলে যাবে।
উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত পরমাণু বোমা এবং আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মুখে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয়া তার গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করতে চায় এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে চায়।
গত ২৯ নভেম্বর কিম জং উনের নেতৃত্বাধীন পিয়ংইয়ং সরকার সর্বশেষ যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোন বাহিনী মূলত দুটি কাজ করবে।
প্রথমত, ড্রোনগুলো দিয়ে শত্রুপক্ষের ওপর নজরদারী চালানে হবে। বিশেষভাবে উত্তরে কোরিয়া যেসব জায়গায় অস্ত্র এবং বোমার পরীক্ষা চালায় সেগুলোর দিকে নজর রাখা হবে। দ্বিতীয়ত, এই ড্রোন ঝাঁক বেধে শক্রর ওপর হামলা চালাতে পারবে।
গত বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জ্যা ইন দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাজেটে সাত শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। ২০০৯ সালের পর থেকে সামরিক বাজেট এতোটা বাড়ানো হয়নি।
সূত্র: দ্যা টেলিগ্রাফ।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ১১ ডিসেম্বর ২০১৭