ঢাকার বায়ুদূষণ কমছে না, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে নগরবাসীরা

মারাত্মক বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় রবিবার সকালেও সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে (শীর্ষে) উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এর প্রভাবে জনবহুল এ নগরীর বাসিন্দারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। সকাল ৮টা ২৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ২০৫। যার অর্থ হচ্ছে এ শহরের বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’। একিউআই মান ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর এবং ভারতের কলকাতা যথাক্রমে ২০৫ ও ১৭৪ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।

একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। জনবহুল ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বাতাস নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। মূলত নির্মাণ কাজের নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটা প্রভৃতি কারণে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে এ শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বায়ুদূষণ নিয়ে কাজ করা সংস্থা আইকিউএয়ার-এর এয়ার ভিজ্যুয়াল ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বস্তুকণা বা পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) ২.৫ মানের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিকৃষ্ট বায়ুর শহরের তালিকায় নয়াদিল্লির পরে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান