সদ্য প্রয়াত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। শনিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে তার মরদেহবাহী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরে অবতরণ করে।
এরপর বিমানবন্দর থেকে আনিসুল হকের মরদেহ তার বনানীর ২৭ নম্বর সড়কে নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। আগে থেকেই সেখানে হাজির ছিলেন প্রয়াত মেয়রের আত্মীয়-স্বজনসহ বিপুল শুভানুধ্যায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শেষবারের মতো আনিসুল হকের লাশ নিজের বাসভবনে পৌঁছালে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশ তৈরি হয়।
জানা গেছে, এ পর্ব সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার জন্য বাসার চারপাশে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। বাড়ির বাইরে প্রচুর সাধারণ মানুষ জড়ো হয়েছেন তাকে শেষবারের মতো দেখার জন্য।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মেয়রের লাশ বহনকারী যাত্রীবাহী বিমানটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এ সময় মরহুমের সঙ্গে তার স্ত্রী রুবানা হক, ছেলে নাভিদুল হক, দুই মেয়ে ওয়ামিক উমায়রা ও তানিশা ফারিয়াম্যান হক ও এক নাতনি উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দরে মেয়র আনিসুল হকের ছোটভাই সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মো. শফিউল হক তার মরদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ বিশিষ্টজনেরা।
গত ২৯ জুলাই নাতির জন্ম উপলক্ষে স্ত্রী রুবানা হককে নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান আনিসুল হক। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ অগাস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় সাড়ে ৩ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি।
গত শুক্রবার লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক সেন্ট্রাল মসজিদে বাদ জুমা আনিসুল হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় সেখানকার বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন।
শনিবার বিকেল ৩ টায় রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানে বাদ আসর জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২ ডিসেম্বর ২০১৭