ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে: সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প নির্মাণে ১২ হাজার ৫৬৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল্যের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

৮ নভেম্বর বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি নির্মাণের লক্ষ্যে চীন সরকার কর্তৃক মনোনীত প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ইপিসি (ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রোকিউরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশান) টার্নকি কনট্রাক-এর ভিত্তিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ৫৬৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল্যের ক্রয় প্রস্তাব কমিটি অনুমোদন করেছে। প্রস্তাব অনুমোদনের পরই নির্মান কাজ শুরু হবে বলে আশা করেন তিনি।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে চীন সরকার মনোনীত চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনকে (সিএমসি)। নির্মাণ পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য এটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বেও থাকবে কোম্পানিটি। আলোচ্য সময়ে টোল আদায়ের মাধ্যমে তুলে নেবে তাদের বিনিয়োগ।

সেতু বিভাগের তথ্য মতে, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য গত ২৪ অক্টোবর ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয় একনেক। এটি নির্মাণ হলে এশিয়ান হাইওয়েতে নেটওয়ার্ক এবং প্রায সকল জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি ঢাকার সঙ্গে ৩০টি জেলার সংযোগ স্থাপনকারী আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা করিডোরের যানজট কমে আসবে।

এছাড়া উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের ঢাকা ছাড়ার জন্য গাবতলী, সভার এবং চন্দ্রা এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থাকতে হবে না। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই ঢাকা থেকে চন্দ্রা পৌঁছে যাবে এসব গাড়ি।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ দেবে ১০ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। বাকি ৫ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে দেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটির আওতায় ২৪ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে ছাড়াও ১০.৮৪৩ কিলোমিটার র‍্যাম্প, ১.৯২ কিলোমিটার নবীনগর ফ্লাইওভার, ১৪.৪৮ কিলোমিটার ২ লেন সার্ভিস রোডসহ এটগ্রেড সড়ক পুন:নির্মাণ, দুটি ২.৭২ কিলোমিটার দৈর্ঘের সেতু, ৫০০ মিটার ওভারপাস. ইউটিলিটির সার্ভিসের জন্য ১৮.০০ কিলোমিটার ড্রেনেজ ও ডাস্ট এবং ৫টি টোল প্লাজা নির্মাণ হবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় ঢাকা-আশুলিয়া সড়কের পাশ দিয়ে একটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেন। প্রথমে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বা পিপিপির মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পরিকল্প থাকলেও পরবর্তীতে তা বাতিল করে সরকারিভাবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৮ নভেম্বর ২০১৭