ঢাকা ক্লাবের বিরুদ্ধে ৩৪ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী এবং অভিজাত ঢাকা ক্লাবের ব্যাংক হিসাব জব্দসহ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে রাজস্ব কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ ৩৪ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফাঁকি দিয়েছে ক্লাবটি।

বিগত ৫ বছর যাবৎ ক্লাবটি খাবার ও মিষ্টি বিক্রি এবং বার ও সেলুনসহ চালু থাকা অন্যান্য সার্ভিসের (সেবা) ওপর কোন ধরনের ভ্যাট প্রদান করেনি। কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (দক্ষিণ) এর হিসেবে ঢাকা ক্লাব এ সময়ে সবমিলিয়ে ৩৪ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।

কমিশনারেটের কর্মকর্তা বলছেন, ফাঁকি দেওয়া ভ্যাট আদায়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনায় বসলেও ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এজন্য ঢাকা ক্লাবের ব্যাংক হিসাব জব্দসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি চাওয়া হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে।

কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (দক্ষিণ) কমিশনার কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অভিজাত এই ক্লাবে বার ও সেুলন চালু থাকার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত বাইরে খাবার ও মিষ্টি বিক্রি করছে। অথচ গত ৫ বছর যাবৎ এসব থেকে আমরা কোন ধরণের ভ্যাট পাচ্ছি না। আমাদের হিসেবে গত ৫ বছরে তারা পণ্য ও সেবাবাবদ ৩৪ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। এই অর্থ আদায়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনায় বসলেও এর কোন সুরাহা হয়নি। এমনকি তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন,১৯৯১ সালের ভ্যাট আইনের ৫৬ ধারা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাব জব্দসহ অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এজন্য এনবিআরের কাছে অনুমতি চেয়ে আমরা চিঠি লিখেছি।অনুমতি পেলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশের সম্মানিত নাগরিকরা ঢাকা ক্লাবের সদস্য হওয়ায় এনবিআরের অনুমতি সাপেক্ষেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। ঢাকা ক্লাব কর্তৃপক্ষ আবাসন বাবদ কেবলমাত্র ভ্যাট প্রদান করছে। কিন্তু এর বাইরে সেবা এবং খাবারসহ যেসব পণ্য তারা বিক্রি করছে,তার ওপর আরোপিত ভ্যাট রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হচ্ছে না।

আরএম/