ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁস হয়নি, দাবি কর্তৃপক্ষের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবরকে ‘অসত্য’ ও ‘অবাস্তব’ হিসেবে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ।

২১ অক্টোবর শনিবার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম স্বাক্ষরিত এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ ইউনিট-এর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। সংবাদে দাবি করা হয়েছে যে, পরীক্ষা অনুষ্ঠানের আগের রাতেই প্রশ্নপত্র বা এর একাংশ ফাঁস হয়েছে। এই দাবি অসত্য ও বাস্তবসম্মত নয়।’’

বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, ‘যে প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন প্রণয়ন ও মুদ্রণ হয় তা এতটাই গোপনীয়তার মধ্যে করা হয় যে, তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। কোনো কোনো গণমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী আগের রাতে তাদের কাছে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র পৌঁছে থাকলেও সে বিষয়ে পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত তাঁরা প্রশাসনকে অবহিত না করে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সংবাদ আকারে প্রকাশ করেছে। এভাবে সংবাদ প্রকাশ করায় আমরা বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন হয়েছি এবং প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

ঢাবি কর্তৃপক্ষ জানায়, পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগের রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ১৫ জন পরীক্ষার্থীকে বিভিন্ন ডিভাইসসহ আটক করা সম্ভব হয়। সুতরাং, গণমাধ্যমের কাছে রাতে বা পরীক্ষা চলাকালীন ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস’ সংক্রান্ত কোনো তথ্য থাকলে তা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা বাঞ্ছনীয় ছিল।

২০ অক্টোবর শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সমন্বিত এ ইউনিটে সকল বিভাগের যোগ্য ও আগ্রহী শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। ফলে এই ইউনিটে তুলনামূলক কঠিন প্রতিযোগিতা হয়। এবার একটি আসনের বিপরীতে প্রতিযোগী ছিলেন ৬১ জন। এক হাজার ৬১০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ৯৮ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী।

পরীক্ষার পরপরই এর প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে সুনির্দিষ্ট করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ কেউই প্রমাণ করতে পারেনি।

আজকের বাজার : এমএম / ২১ অক্টোবর ২০১৭