বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির অর্থ ফেরত পাওয়ার আশা ছাড়েনি বাংলাদেশ। যদিও অর্থ ফেরতের বিষয়ে ‘ব্যাপক চাপ’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ম্যানিলায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম।
৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ফিলিপাইনের গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘হ্যাঁ, এই বিষয়ে একটি হতাশা চলে এসেছে।’ তবে চুরি যাওয়া অর্থ বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দিতে একযোগে প্রচেষ্টা চালানো হবে, ফিলিপাইনের সরকার এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানান তিনি।
সিয়াম বলেন, ‘আমরা আসলে আমাদের ফিলিপাইনের সহকর্মীদের ওপর উচ্চ প্রত্যাশা রাখছি। কারণ এই সরকার বাংলাদেশের রিজার্ভের চুরির মতো দুর্নীতি এবং ট্রান্স ন্যাশনাল অপরাধগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার। তাই দেখা যাক কী হয়।’
ফিলিপাইন থেকে অর্থ পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গত মঙ্গলবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় গেছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোর বিচার শুরু হতে যাচ্ছে। ফিলিপাইনের আদালতে এ বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থের বড় অংশটি ফিলিপাইন গেলেও বাকি ২ কোটি ডলার যায় শ্রীলঙ্কায়। পরে শ্রীলঙ্কা থেকে ২ কোটি ডলার উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ফিলিপাইনে চলে যাওয়া অর্থের বেশির ভাগই এখনো উদ্ধার হয়নি।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭