তাঞ্জানিয়ার লেক ভিক্টোরিয়াতে ডুবে যাওয়া ফেরি থেকে দুদিন পর একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আর দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ১৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
মাওয়ানজার আঞ্চলিক কমিশনার জন মোঙ্গেলা সাংবাদিকদের জানান, উল্টে যাওয়া নৌযানটির ইঞ্জিনের কাছে একজন প্রকৌশলীকে পাওয়া গেছে।
তিনি ইঞ্জিন কক্ষের ভেতরে দরজা আটকে ছিলেন বলে তাঞ্জানিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন জানিয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।
ফেরির চারদিকে উদ্ধার অভিযান চলছে। সেই সাথে লাশ নেয়ার জন্য স্বজনরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে আছেন।
১০১ জন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ফেরিটিতে কতজন ছিলেন তা কেউ জানেন না। শুক্রবার কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, কমপক্ষে ৪০ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তাঞ্জানিয়ার প্রেসিডেন্ট জন মাগোফোলি দুর্ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি চার দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করে বলেন, ‘এটি আমাদের দেশের জন্য এক বিরাট দুর্যোগ।’
বৃহস্পতিবার বিকালে অত্যধিক যাত্রী বোঝাই ফেরিটি একটি বাজার থেকে ফেরার পথে ডুবে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী জেলে ও অন্যদের আশঙ্কা দুই শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়ে থাকতে পারেন।
এ ঘটনায় পোপ ফ্রান্সিস, জাতিসংঘ মহাসচিব, রুশ প্রেসিডেন্ট এবং অনেক আফ্রিকান নেতা শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তাঞ্জানিয়া, কেনিয়া এবং উগান্ডাকে ঘিরে থাকা লেক ভিক্টোরিয়াতে প্রায়ই ফেরি দুর্ঘটনা হয়। মিঠা পানির এই বড় হ্রদটিতে ১৯৯৬ সালে এক ফেরি দুর্ঘটনায় ৮০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
২০১১ সালে ভারত সাগরে অবস্থিত তাঞ্জানিয়ার জানজিবারে একটি ফেরি ডুবে ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তথ্য-ইউএনবি।
আজকে বাজার/এমএইচ