তালাক দিয়ে-জেল খাটিয়েও থামেননি, স্বামীকে খুনই করে ফেললেন পরকীয়ায় লিপ্ত স্ত্রী

পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় পাঁচ বছর সংসার করে স্বামীকে তালাক দিয়েছিলেন স্ত্রী। এরপর যৌতুকের মামলায় সাতদিন জেলও খাটান। তবু কমেনি ক্ষোভ, জামিনে বের হওয়ার পাঁচদিনের মাথায় স্বামীকে খুনই করে ফেললেন।

গত ২০ জুলাই মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্বরাস্তি গ্রামে। ওই ঘটনায় নিহত মামুন খানের মা রিজিয়া বেগম সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলে তা গ্রহণ করেনি পুলিশ। এরপর বাদী মাদারীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। পরে মামলার বিষয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেন বিচারক।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মামলার বাদী রিজিয়া বেগম এবং দুই আইনজীবী হাওলাদার মিজানুর রহমান ও মো. জাফর আলী মিয়া।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রাস্তি গ্রামের আব্দুর রশিদ খানের ছেলে মামুন খানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই গ্রামের মান্নান সরদারের মেয়ে তাছলিমা বেগমের। ২০১৫ সালে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তাছলিমা। এ নিয়ে সৃষ্ট দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর মামুনকে তালাক দেন তাছলিমা। এরপর ক্ষোভের কারণে ২৩ ফেব্রুয়ারি মামুনের বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ ৮ জুলাই মামুন খানকে গ্রেফতার করে। আদালত ১৫ জুলাই তাকে জামিন দেয়।

আরো জানা গেছে, মামুন জামিনে বের হলে ২০ জুলাই মীমাংসার কথা বলে তাকে নিজেদের বাড়িতে ডেকে নেয় তাছলিমা ও তার পরিবার। পরদিন দুপুরে তার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায় মস্তফাপুর সড়কের পাশে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়। ওই ঘটনায় নিহতের মা তাছলিমা বেগমসহ কয়েকজনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও মামলা নেয়নি পুলিশ।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে আছে। তবে হত্যা মামলা করার জন্য কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এমনকি পরামর্শ করার জন্য থানায় আসার কথা থাকলেও নিহতের স্বজনরা আসেনি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তথ্য-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান