তিতলির প্রভাবে পটুয়াখালীর অর্ধশত গ্রাম পানির নিচে

প্রবল ও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ পাওয়া ‘তিতলি’। ‘তিতলি’র প্রভাবে পটুয়াখালীতে ক্রমশই আবহাওয়ার অবনতি ঘটছে। জোয়ারের উচ্চতা বেড়ে প্লাবিত হয়েছে জেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম।

বিভিন্ন স্থানে পানিতে ডুবে গেছে রোপা আমনের ক্ষেত। পানিবন্দী হাজারো পরিবার। উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে এলাকাবাসি।

আকস্মিক বন্যায় প্রভাবে স্থাগিত রাখা হয়েছে পায়রা সমুদ্র বন্দরের সকল কার্যক্রম। বুধবার থেকে বন্ধ রাখা রয়েছে জেলার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটের সব নৌযান চলাচল।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা হয়েছে। জেলা সদর ও প্রতিটি উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলে ১১১ টি মেডিকেল টিম, ৮টি ভ্যাটেনারি টিম ও রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক দলসহ ৩৯১ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তিতলির ক্ষয়ক্ষতি মোকাবলোয় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপকূলীয় অঞ্চলের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়া দুর্যোগকালীন জরুরী ত্রাণ সহায়তার প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন গুদামে ১০১৩২ টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে।

আজকের বাজার/এমএইচ