দিপক আগারওয়াল নামের এক ব্যক্তির থেকে সাকিব আল হাসান তিনবার জুয়ার প্রস্তাব পান। তিনবারই এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন বলে জানিয়েছে আইসিসি।
জুয়াড়ির কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েও সাকিব আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন ইউনিটকে জানায়নি। সাকিব তিনবারই আইসিসির ২.৪.৪ ধারা ভেঙেছেন।
প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলংকা এবং জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজ অথবা ২০১৮ সালের আইপিএলে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পান সাকিব। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেও আইসিসির আকসুকে জানায়নি সাকিব।
দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্নীতিতে যুক্ত হওয়ার দ্বিতীয় প্রস্তাব পান সাকিব আল হাসান। কিন্তু দুর্নীতিকে প্রভাবিত করা কিংবা দুর্নীতি করার সেই প্রস্তাবের কথাও কতৃপক্ষকে জানায়নি সাকিব।
তিনি তৃতীয় প্রস্তাবটিও পান একই বছর। ২০১৮ সালের আইপিএলে তাকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেয় জুয়াড়িরা। সে বছরও তিনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছেন। পাঞ্জাবের বিপক্ষে দুই লেগের ম্যাচেই এপ্রিলে মুখোমুখি হয় হায়দরাবাদ। সাকিবকে ওই দুই ম্যাচের একটিতে জুয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেবারও আইসিসিকে কোন অভিযোগ দেননি সাকিব।
সাকিব সাজা পেয়েছেন দুই বছরের। এর মধ্যে স্থগিত সাজা এক বছর। নতুন করে ভুল না করলে ২০২০ সালের অক্টোবরে তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব।
আজকের বাজার/এমএইচ