তিন সিটিতে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা: জরিপ

রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেটে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রর্থীরা বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পুত্র ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

রোববার (২৯ জুলাই) নিজের ফেসবুক পেইজে একটি জরিপের ফল প্রকাশ করে তিনি এ কথা জানান।

রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) নামের একটি প্রতিষ্ঠান পুরো জুলাই মাস ধরে জরিপটি চালায় বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিন সিটিতে চালানো জনমত জরিপের যে চিত্র সজীব ওয়াজেদ তুলে ধরেছেন তা নিম্নরূপ–

বরিশাল-

জরিপে অংশ নেয়া ১২৪১ জন ভোটারের মধ্যে ৪৪ শতাংশ ব্যক্তি সেরনিয়াবাতা সাদিক আব্দুল্লাহ (আওয়ামী লীগ) পক্ষে মত দিয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী মুজিবুর রহমান সরওয়ারকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন মাত্র ১৩ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার। ২৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন নি। অন্যদিকে ১৫ শতাংশ কোনো ধরনের উত্তর দিতে অস্বীকার করেছেন।

রাজশাহী-

১২৯৪ জন ভোটারের অংশগ্রহণে হওয়ার জনমত জরিপে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে বলেছেন ৫৮ শতাংশ। আর বিএনপির পক্ষে মাত্র ১৬ দশকিম ৪ শতাংশ। কারো পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দেবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছেন ১২ শতাংশ ভোটার। আর জরিপে মতামত জানাতে অস্বীকার করেন ৯ শতাংশ।

সিলেট-

সিলেটে চিত্রটা একটু ভিন্ন। সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর মধ্যকার ভোটের ব্যবধান খুব বেশি নয়। জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে ৩৩ শতাংশ ভোটার কামরানের পক্ষে আর ২৮ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার আরিফের পক্ষে। ১১৯৬ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ২৩ শতাংশ কাকে ভোট দেবেন সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন নি, আর ১২ শতাংশ নিজেদের মতামত জানাতে আগ্রহী ছিলেন না।

জরিপের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা জানান, এটির ফলাফলের ক্ষেত্রে ২ দশমিক ৫ শতাংশের ভোট কমবেশি (মার্জিন অব এরর) হতে পারে।

তিনি আরো জানান, গত পাঁচ বছর ধরে আরডিসি-এর মাধ্যমে আমরা জরিপ পরিচালনা করছি। তাদের জরিপের পদ্ধতি ও ফলাফল বরাবরই আমার সঠিক মনে হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, যেহেতু জরিপগুলো গত এক মাস ধরে করা হয়েছে এবং এর মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা জোরেশোরে চলেছে তাই জরিপ ও নির্বাচনের ফলাফলে কিছুটা তফাৎ হতে পারে। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসী যে বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ বিশাল ব্যবধানে জয়ের পথে। যদিও সিলেটে আমরা কিছুটা এগিয়ে আছি, এই মুহূর্তে আসলে কাউকেই বিজয়ী হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।

বিএনপি অনেক ধরণের অভিযোগ করতে থাকে, কিন্তু আসল কথা হচ্ছে তাদের কোনো জনপ্রিয়তাই নেই। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন দিন দিন বাড়ছে। নির্বাচনী লড়াইয়ে বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের জন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই না।

আমি আমাদের দলীয় নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানাবো তারা যেন সজাগ থাকেন। কারণ আমাদের আশংকা বিএনপি ভোট কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়ে সেই দায় আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা চালাবেন। আপনারা সবাই বিএনপি নেতাদের এইরূপ ষড়যন্ত্রের ফোনালাপ সম্প্রতি শুনেছিলেন গাজীপুর নির্বাচনের সময়। বিএনপির প্রার্থীরা যতই ভোটারদের কাছে যান, ততই তারা বুঝতে পারেন তাদের দল বাংলাদেশের মানুষদের থেকে কতটা দূরে সরে গিয়েছেন। তাই আওয়ামী লীগকে বিতর্কিত করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের একমাত্র কৌশল।

আরএম/