তিস্তা ও ধরলা নদীর দূর্গম চরের শিক্ষার্থীরাও ১ জানুয়ারিতে নতুন বই পাবে

জেলার তিস্তা ও ধরলা নদীর দূর্গম চরের শিক্ষার্থীরাও ১ জানুয়ারিতে নতুন বই পাবে। স্কুলে-স্কুলে বই পৌঁচ্ছে দেয়া হচ্ছে। করোনা সংক্রামণ রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এবার ১ জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বই বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ ক্ষেত্রে একেক দিন একেক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই দেয়া হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) ও জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্কুলের পাঠাদান বন্ধ রেখেই শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিত করে এবছর নতুন পাঠ্যপুস্তুক বিতরণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল থেকে বই নিতে হবে। একেক দিন একেক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে প্যাকেটজাত বই তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, কোন দিন কোন ক্লাসের বই দেয়া হবে তা আগে থেকেই স্কুলের নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেয়া থাকবে। আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সকল স্কুল বন্ধ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি ৩১ ডিসেম্বর নতুন বই উৎসবের সূচনা করবেন। তারপর ১ জানুয়ারি হতে সকাল-বিকাল পৃথক-পৃথকভাবে শিক্ষার্থীদের কাছে বই দেয়া হবে। এতে এ বছর বই বিতরণে কয়েক দিন লাগতে পারে। বইয়ের কোন সংকট নেই। সকলেই বই পাবে। তবে যেসব স্কুলে এক শ্রেণিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি এসব ক্ষেত্রে সকাল ও বিকাল আলাদা করে অভিভাবকদের বই নিয়ে যেতে বলা হচ্ছে। করোনা সংক্রামণের ঝুঁকি এড়াতে কঠোর ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে বই বিতরণ করা হবে।
এ বিষয়ে মাউশির পরিচালক (বিদ্যালয়) বেলাল হোসাইন জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার স্কুল থেকেই নতুন বই বিতরণ করা হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা জারির করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এই জারিকৃত নির্দেশনা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে দেয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে নতুন বই বিতরণের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ। বই বিতরণে পূর্বের অভিজ্ঞতার সাথে নতুন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সমন্বয় করা হয়েছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ করা হবে।
তিস্তা ও ধরলা নদীর দূর্গম চর এলাকাসহ জেলায় এ বছর মাধ্যমিক স্তরের ৩৭১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও প্রাথমিক স্তুরের ৭৬৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়েক লাখ শিক্ষার্থীকে নতুন বই দেয়া হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম নবী জানান, ইতোমধ্যে জেলার স্কুল গুলোতে বই পৌঁচ্ছে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এ বছর প্রাথমিক স্তুরের জন্য দুই লাখ ১৮ হাজার সেট নতুন বই বরাদ্দ চেয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছিলো।