তুরস্কের একটি পারমাণবিক স্থাপনা নির্মাণ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া।
২,০০০ কোটি ডলারের এ প্রকল্প অনুমোদন করেছে তুরস্কের জ্বালানী নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক প্রধান কর্তৃপক্ষ ইপিডিকে।
রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত আণবিক শক্তি সংস্থা রোসাতম স্থাপনাটি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে।
এর আগে কয়েক দফা পিছিয়েছে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় আক্কুইয়ু এলাকার পরিকল্পিত এ প্রকল্প।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের নভেম্বরে সিরিয়া সীমান্তের আকাশে রাশিয়ার একটি জঙ্গিবিমান তুরস্ক গুলি করে ভূপাতিত করলে এ প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যায়। সে সময় আঙ্কারা-মস্কো সম্পর্কে তীব্র টানাপড়েন তৈরি হলেও পরে ধীরে ধীরে উত্তেজনা কমে আসে।
এ পরমাণু স্থাপনায় মোট চারটি চুল্লি থাকবে বলে জানিয়েছে তুরস্কের জ্বালানী নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ইপিডিকে। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ চুল্লি গুলোর নির্মাণ কাজ ২০২৩ সাল নাগাদ শেষ হবে।
পরমাণু শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু হলে এটি তুরস্কের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার শতকরা ৬-৭ ভাগ উৎপাদন করতে পারবে বলে বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। জ্বালানীর জন্য তুরস্ক প্রায় পুরোপুরি পরনির্ভরশীল। দেশটি বছরে প্রায় ৫,০০০ কোটি ডলারের জ্বালানী আমদানি করে।
এই নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে আঙ্কারা ২০১৩ সালে ১,২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে রোসাতমের সঙ্গে চুক্তি সই করেছিল। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তুরস্ক বর্তমানে রাশিয়া ও ইরান থেকে আমদানি করা গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল।
সূত্র : পার্সটুডে
আজকের বাজার : এমএম / ২১ অক্টোবর ২০১৭