উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে দেশের ১১৭টি উপজেলায় রবিবার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে কোনো বিরতি ছাড়াই চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপেও ভোট বর্জন করেছে বিএনপিসহ সরকার বিরোধী দলগুলো। অনেকটা একতরফা এই নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যেও আগ্রহ ছিল কম।
এছাড়া অনিয়মের কারণে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় অনেক কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তারা অলস সময় পার করেন। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ভোটকেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। এতে পুলিশ সদস্যসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
নির্বাচনে মোট এক কোটি ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫১ জন ভোটার ছিলেন। কেন্দ্র সংখ্যা নয় হাজার ২৯৮টি।
১১৭টি উপজেলায় ৩৪০ জন চেয়ারম্যান পদে, ৫৮৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ও ৩৯৯ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।
এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ৩৩ জন চেয়ারম্যান, নয়জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১৩ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
চারটি উপজেলা নির্বাচনে – মেহেরপুর সদর, গোপালগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জ সদর ও রংপুর সদরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় রবিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
নিরাপত্তার জন্য নির্বাচনী উপজেলাগুলোকে গত শুক্রবার থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সেখানে মঙ্গলবার পর্যন্ত অবস্থান করবেন।
এছাড়া অনিয়মের ঝুঁকি ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রোধে কয়েকটি উপজেলায় অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলায় একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এর আগে প্রথম ধাপে গত ১০ মার্চ ও দ্বিতীয় ধাপে গত ১৮ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়সূচি রয়েছে।