তৃতীয় মেয়াদের জন্য দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেজরিওয়ালের শপথ

আম আদমি পার্টি (এএপি)’র আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ভারতের কেন্দ্রীয় রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রামলীলা ময়দানে এ সময় হাজার হাজার উৎফুল্ল জনতা আনন্দ প্রকাশ করে। কয়েকস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে এএপি প্রধানের পাশে তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মনিষ সিসোদিয়া, গোপাল রায়, সত্যেন্দ্র জেইন, কৈলাশ গাহলোট, ইমরান হুসেন ও রাজেন্দ্র পাল গৌতমও শপথ নেন। শিক্ষক, বাস চালক, স্ট্যানিটেশন কর্মী, মেট্রো পাইলটস এবং দমকল কর্মীদের পরিবারের সদস্যসহ ৫০ ‘দিল্লী কে নির্মাতা’ বা ‘দিল্লীর কারিগর’ও এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে কেজরিওয়ালের সাথে ছিলেন।

অনুষ্ঠানে দিল্লীর বিজেপি’র এমপি ও এমএলএ-দের সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দিল্লী ভিত্তিক অনুষ্ঠান হওয়ায় অন্য কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অথবা রাজনীতিবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। শপথ গ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, তিনি ভারতের জাতীয় রাজধানীর ২ কোটি মানুষের প্রতি এই বিজয় উৎসর্গ করেছেন। আগামী ৫ বছরে তার সরকার কি করতে যাচ্ছে সেই এজেন্ডা তুলে ধরেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আজ আপনাদের ছেলে তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছে। এটা আমার বিজয় নয়, এটা দিল্লীর প্রতিটি মা, বোন, শিক্ষার্থী ও প্রতিটি পরিবারের বিজয়।’ ৫১ বছর বয়সী মুখ্যমন্ত্রী খুব ভাল নির্বাচনী প্রচারণা ও নির্বাচন পূর্ববর্তী চাপ নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘অনেকে এএপিকে ভোট দিয়েছেন, কেউ কেউ বিজেপিকে, অনেকে আবার কংগ্রেসকে ও অন্যরা অন্যান্য দলগুলোকে। কিন্তু শপথ গ্রহণ করার পর থেকে আমি সবার মুখ্যমন্ত্রী।’ তিনি তার রাজ্যের উন্নয়ন এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সমর্থন চেয়েছেন। ৮ ফেব্রুয়ারির এই নির্বাচনে কেজরিওয়ালের এএপি দিল্লী বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয়লাভ করেছে। ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি বাকি আটটি আসনে জয়লাভ করে। কংগ্রেস একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি। ২০১৫ সালে দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (এএপি) ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৭টি আসনে বিজয়ী হয়েছিল। অবশিষ্ট তিনটি আসনে বিজেপি ও কংগ্রেসের মনোনিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান