তৃতীয় শক্তির ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বললেন সিইসি

আগের নির্বাচনের মতো (২০১৪) এবারের নির্বাচনে বিশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টি ও নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের পেছনে তৃতীয় শক্তির ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে খতিয়ে দেখতে বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।

বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীতে নির্বাচনে নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে এক বৈঠকে বক্তব্য দেয়ার সময় সিইসি বলেন, ‘এখানে (সাম্প্রতিক নির্বাচনী সংঘর্ষ) তৃতীয় কোনো শক্তির ষড়যন্ত্র আছে কিনা সে বিষয়ে আমি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে আহ্বান জানাচ্ছি।’

নির্বাচন ভবনে সকাল ১০টায় বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে পুলিশ, র‌্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, আনসার ও ভিডিপি, গোয়েন্দা সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি এবং ৬৬ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও এসপিরা অংশ নেন।

সিইসি বলেন, ‘কিছু ঘটনা আমরা একেবারেই অবহেলা করতে পারি না। কিছু ঘটনা নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পরপরই ঘটেছে…দুজন খুন হয়েছেন। দুজন মানুষের জীবন খুবই মূল্যবান। কিন্তু কেন এই ঘটনা ঘটেছে?’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এই ঘটনাগুলোর পেছনে কোনো রাজনৈতিক, সামাজিক কারণ আছে কিনা তাও অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’

কোনো ঘটনায় অন্যের ওপর দায় চাপানোর সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার ওপর গুরুত্ব দেন নুরুল হুদা।

আইনশৃঙ্খলার অবনতি হালকাভাবে না নিতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সিইসি বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে সহিংস অবস্থার কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তার ছক তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘ওই নির্বাচনের (৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন) পরিস্থিতির কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। তখন ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। ওই ঘটনার কথা মাথায় রেখেই এবার আমাদের নিরাপত্তার ছক তৈরি করতে হবে। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ