সদ্য সমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে ১ লাখ ৬০ হাজার বেইল ফাইবার তুলা উৎপাদন হয়েছে; তৈরি পোশাক শিল্পে তুলার মোট চাহিদার প্রায় ৩ শতাংশ। অর্থাৎ চাহিদার ৯৭ শতাংশ তুলাই আমদানি করা হয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্পের চাহিদা পূরণে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রায় ৪৫ লাখ বেইল ফাইবার তুলা আমদানি হয়েছে।
জাতীয় সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর দেওয়া বক্তব্যে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে ক্রমান্বয়ে তুলার চাহিদা বাড়ছে। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তুলার উৎপাদনও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তবে এখন বছরে যে পরিমাণ তুলা উৎপাদিত হচ্ছে- তা দিয়ে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।
দেশে তুলার উৎপাদন বাড়াতে ১০৫ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। একইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জিএমও (জেনেটিক্যালি মডিফাইড অর্গানিজম) তুলা কিংবা বিটি তুলা উৎপাদনের উদ্যোগও নিয়েছে সরকার।
কটন ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (সিডিবি) নির্বাহী পরিচালক মো. ফরিদ উদ্দীন জানান, তুলা চাষের জন্য রাজশাহী, নওগাঁ, চাপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলের বরেন্দ্রভূমি চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই জমিতে অন্য কোনো ফসল উৎপাদন করা সম্ভব না হলেও তুলা চাষ করা যাবে।
তিনি জানান, প্রতি ২ লাখ হেক্টর জমিতে ১০ লাখ বেইল তুলা উৎপাদন করা সম্ভব। এতে যে পরিমাণ খরচ হবে তা একই পরিমাণ তুলা আমদানির তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ কম।
সিডিবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বর্তমানে তুলা আমদানিকারক দেশের তালিকায় শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। আমাদের দেশের তৈরি পোশাক শিল্প এখনও তুলা আমদানি নির্ভর। দেশের অভ্যন্তরে তুলা উৎপাদন বাড়ানো হলে এই আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।
আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ১১ জুলাই ২০১৭